কালো টাকা সাদা করতে ব্যাঙ্ককর্মীদের একাংশের জড়িয়ে থাকার অভিযোগ তুলছিল আর্থিক তদন্তকারী বিভিন্ন সংস্থা। আর এই কাজে পর পর কয়েকটি ঘটনায় নাম জড়িয়ে গিয়েছিল অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের কয়েকটি শাখার। দিল্লির পাশের শহর নয়ডায় অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের একটি শাখা থেকে ৬০ কোটি কালো টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তের কাজ যখন জোর কদমে এগোচ্ছে, তখন ব্যাঙ্কের সুনাম বজায় রাখার কাজে নেমে পড়লেন সংস্থার সিইও। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের এমডি ও সিইও শিখা শর্মা রবিবার মন্তব্য করেছেন, ব্যাঙ্কের এক শ্রেণির কর্মীর আচরণে তিনি মর্মাহত। ব্যাঙ্কের হিসেবের স্বচ্ছতা রাখতে ফরেন্সিক অডিট করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
নোট বাতিলের পরে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের লেনদেন এখন আর্থিক তদন্তকারী সংস্থাগুলির আতসকাচের নীচে। নয়ডায় অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের একটি শাখায় দিল্লির বাসিন্দা নন্দু পাশোয়ানের অ্যাকাউন্ট ছিল। তিনি অভিযোগ আনেন, কোনও একটি সংস্থার নামে কেউ এক জন একটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলেছে। আর ওই সংস্থার মালিক হিসেবে দেখানো হয়েছে তাঁকে। আয়কর দফতর ওই অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে নন্দুকে জেরা করেছিল। তার পরেই তিনি ওই অভিযোগ আনেন। জানান, তাঁর নামে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্টও দেখানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, হিমানি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সংস্থার নামে ওই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।
আয়কর বিভাগের কর্তাদের দাবি, গত ১৫ ডিসেম্বর ২০টি অস্তিত্বহীন ২০টি সংস্থার নামে ৬০ কোটি টাকা জমা করা হয়েছে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের ওই শাখায়। অ্যাকাউন্ট নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় সব লেনদেন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। একটি নির্দিষ্ট সময়ের সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হচ্ছে। এখন এর যাবতীয় নথি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ সব বিষয়ে তদন্তে নেমেছে ইডি। ব্যাঙ্কের সুনাম নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন গ্রাহকদের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের এমডি।