কী অভিযোগ গিলানির বিরুদ্ধে? আদালত পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্টে জেনেছে, ১ ফেব্রুয়ারি আমশিপোরা গ্রামে শাবির আহমদ ওয়াগে নামে একটি পুলিশ কর্মীকে জঙ্গিরা গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে শোপিয়ান জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
গওহর গিলানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা। ছবি সংগৃহীত।
কাশ্মীরের সাংবাদিক গওহর গিলানির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল শোপিয়ানের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আদালতের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গিলানির কার্যকলাপ আইনশৃঙ্খলা এবং শান্তির পরিপন্থী। এই সংক্রান্ত মামলায় গিলানিকে আগেই তলব করেছিল আদালত। তিনি হাজিরা না দেওয়ায় আজ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়ে গেল।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত লেখালেখি করা গিলানিকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টা আগেও হয়েছে। আগেও তাঁর নামে ইউএপিএ-তে মামলা হয়েছে। বিরোধী শিবির মনে করে, কাশ্মীরে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার প্রবণতারই একটি দৃষ্টান্ত হল গিলানির ‘কণ্ঠরোধ’ করার চেষ্টা।
আদালত এ দিন তার নির্দেশে হীরপোরার এসএইচও-কে (স্টেশন হাউস অফিসার বলেছে, গিলানিকে গ্রেফতার করে ১৯ তারিখ আদালতে হাজির করতে। ৩ ফেব্রুয়ারি গিলানিকে নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও তিনি আদালতের সামনে উপস্থিত হননি। ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত তাঁকে সমন পাঠিয়ে করে ৭ তারিখে আদালতে উপস্থিত হতে বলে। গিলানি আদালতে যাননি। এ বার এলাকার ‘শান্তি ও সুরক্ষার স্বার্থে’ তাঁকে গ্রেফতার করে ১৯ তারিখ আদালতে পেশ করার কথা বলা হয়েছে।
কী অভিযোগ গিলানির বিরুদ্ধে? আদালত পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্টে জেনেছে, ১ ফেব্রুয়ারি আমশিপোরা গ্রামে শাবির আহমদ ওয়াগে নামে একটি পুলিশ কর্মীকে জঙ্গিরা গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে শোপিয়ান জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগ, এই ঘটনার পরে গিলানি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সব তথ্য প্রকাশ করেছিলেন, তা আহত ব্যক্তির জীবন এবং তাঁর সঙ্গে জড়িত মানুষজনের জীবনের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারত। এবং গিলানির দেওয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়লে শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সম্ভাবনা ছিল বলে অভিযোগ। আদালত তার নোটিসে এই কথাই উল্লেখ করেছে। আদালত বলেছে, ‘‘আপনার কার্যকলাপ জনস্বার্থের পরিপন্থী এবং তা শান্তি ও সুরক্ষা বিঘ্নিত করার ক্ষমতা রাখে। আমার আশঙ্কা, আপনি এই ধরনের কার্যকলাপ চালিয়েই যাবেন।’’ ম্যাজিস্ট্রেট উল্লেখ করেছেন, গত বছরেও গিলানির বিরুদ্ধে শ্রীনগরে ইউএপিএ-তে মামলা হয়েছে।
গিলানি লাগাতার শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার মতো তথ্য ছড়িয়ে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে, এমনটাই উল্লেখ করেছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy