কুরিয়ারে দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে কী পাঠান আফতাব? উত্তর পেতে চাইছে পুলিশ। ফাইল চিত্র।
শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের তদন্তে এ বার মুম্বই পৌঁছল দিল্লি পুলিশের একটি দল। পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রদ্ধা খুনের তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু টুকরো টুকরো তথ্যসূত্র মিলেছে। সেগুলোকেই এ বার জুড়ে দেখতে চাইছে পুলিশ।
রবিবারই মুম্বইয়ের ভাসাইয়ে পৌঁছেছে দিল্লি পুলিশের দলটি। মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে রবিবারই মীরা রোড এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবিন্দ একটি পণ্য সরবরাহকারী সংস্থার মালিক। এই সংস্থাই আফতাবের যাবতীয় সামগ্রী মুম্বই থেকে দিল্লির ছতরপুরে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল। পুলিশ জানতে পেরেছে কিছু দিন আগে আফতাব এই সংস্থার মাধ্যমেই কিছু জিনিস দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে পাঠিয়েছিলেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতেই গোবিন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
চলতি বছরের মে মাসে শ্রদ্ধা এবং তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী তথা ‘খুনি’ আফতাব মুম্বই থেকে দিল্লি চলে আসেন। অভিযোগ, গত ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলিতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুন করেন আফতাব। এর পর নাকি আমেরিকার এক ওয়েব সিরিজ় থেকে ‘অনুপ্রেরণা’ নিয়ে শ্রদ্ধার মৃতদেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলেন আফতাব। সেই মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখতে কিনে আনা হয় নতুন ফ্রিজ। এর পর ১৮ দিন ধরে ছতরপুর ছিটমহলের জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিয়ে আসেন অভিযুক্ত আফতাব।
সন্দেহ এড়াতে আফতাব রোজ রাত ২টো নাগাদ একটি পলিব্যাগে করে শ্রদ্ধার দেহের টুকরো নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোতেন বলেও পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে। শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করার পর দিল্লি পুলিশ গত শনিবার আফতাবকে গ্রেফতার করে। তখন থেকেই শুরু হয়েছে বিস্তারিত তদন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy