দিল্লির আদালতের পুলিশের দাবি, মাংস কাটার পর তা দীর্ঘ দিন ধরে রেখে দিলেও কী ভাবে পচন রোধ করা যায়, সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন শ্রদ্ধা খুনে অভিযুক্ত আফতাব। —ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ দিন ধরে কী ভাবে মাংস সংরক্ষণ করতে হয়, তা জানেন। ছুরির কারসাজিতেও অত্যন্ত দক্ষ। শেফ হওয়ার প্রশিক্ষণ নেওয়ায় নিজের দক্ষতাকে ‘অন্য ভাবে’ কাজে লাগিয়েছিলেন শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। দিল্লির আদালতে এই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার এমনই দাবি করল পুলিশ।
মঙ্গলবার দিল্লির সাকেত কোর্টে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের শুনানি হয়। তাতে দিল্লি পুলিশের তরফে আইনজীবী অমিত প্রসাদের দাবি, মাংস কাটার পর তা দীর্ঘ দিন ধরে রেখে দিলেও কী ভাবে পচন রোধ করা যায়, সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন আফতাব। সেই সঙ্গে ধারালো ছুরির ব্যবহারেরও অত্যন্ত দক্ষ তিনি। আইনজীবীর মন্তব্য, ‘‘প্রশিক্ষিত শেফ হওয়ায় মাংস কাটার পর তা দক্ষতার সঙ্গে সাফ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান রয়েছে আফতাবের। এ ছাড়া, এই মামলার তদন্তে আফতাবের বিরুদ্ধে পারিপার্শ্বিক প্রমাণ যথেষ্ট জোরালো ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাতে কোনও অসঙ্গতি নেই। ফলে যুক্তিগ্রাহ্য ভাবে সমস্ত প্রমাণই অভিযুক্তের দ্বারা খুনের ইঙ্গিত দেয়।’’
গত বছরের মে মাসে দক্ষিণ দিল্লির ছতরপুর এলাকায় একটি ভাড়াটে ফ্ল্যাটে লিভ ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে আফতাবের বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ সংরক্ষণের জন্য টুকরো টুকরো করে কেটে রাসায়নিক দিয়ে ধুয়ে ফ্রিজ়ে ভরে রেখে দিয়েছিলেন তিনি। এর পর রাতের পর রাত সেই দেহাংশ দিল্লির মেহরৌলির জঙ্গলে ফেলতে যেতেন তিনি।
এই মামলায় তদন্তের পর ২৪ জানুয়ারি আফতাবের বিরুদ্ধে ৬,৬২৪ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার শুনানির সময় নিজেদের যুক্তি খাড়া করার জন্য কিছুটা সময় চেয়ে নেন আফতাবের আইনজীবী জাভেদ হুসেন। এর পর পরবর্তী শুনানির দিন ২০ মার্চ ধার্য করেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক মণীষা খুরানা কক্কর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy