সিদ্দারামাইয়া। ফাইল চিত্র।
ভিডিয়ো বিতর্কে জল ঢালতে নিজের বিদ্রোহী অবস্থান থেকে আজ একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গেলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। জানিয়ে দিলেন, তিনি রাজ্যের জোট সরকারের পক্ষেই। জেডি(এস)-কংগ্রেস জোট সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার দু’টি ভিডিয়ো সিডি চাঞ্চল্য তৈরি করেছে রাজ্যে। এ দিন ওই ভিডিয়োকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টায় বিক্ষুব্ধ এই কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘ও সব তো খুবই ঘরোয়া কথাবার্তা। যিনিই তা রেকর্ড করে থাকুন, অন্যায় করেছেন। কী প্রসঙ্গে কথা হয়েছে তা কেউ জানলেন না। শুধুমাত্র হালকা চালে বলা ঘরোয়া কথাবার্তার একটা অংশ জনতার সামনে নিয়ে আসা হল।’’ রাজনৈতিক সূত্রের খবর, কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কড়া বার্তা ও উপমুখ্যমন্ত্রীর তরফে শাস্তির হুঁশিয়ারি পেয়েই সিদ্দারামাইয়ার এই সুর বদল।
সিদ্দারামাইয়াকে ওই ভিডিয়োয় বলতে শোনা গিয়েছে যে এই সরকার পাঁচ বছর টিঁকবে না। তাঁর জবানিতে, ‘‘দেখই না লোকসভা ভোটের পর কী দাঁড়ায়। লোকসভা পর্যন্ত এই সরকার চলবে। কিন্তু তার পর কী হবে কে জানে!’’ আর গত কাল তাঁর উক্তি, ‘‘কে বলেছে আমি অখুশি! আমরা জোট বানিয়েছি সাম্প্রদায়িক দল বিজেপিকে দূরে রাখার জন্য। এই জোট যে নিরাপদ থাকবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহই থাকা উচিত নয়।’’
মে মাসে কর্নাটকে জোট সরকার তৈরি হওয়ার পর থেকেই সিদ্দারামাইয়ার অসন্তোষ গোপন থাকেনি। এই চিড়কে ফাটলে পরিণত করতে সক্রিয় রয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, তলে তলে বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের উস্কে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্য বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘সিদ্দরামাইয়া শিবির কী পদক্ষেপ করে, সে দিকে আমরা কড়া নজর রাখছি। এটা স্পষ্ট যে এই গোষ্ঠী নিজেদের সুসংহত করছে।’’
এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ গলার কাঁটা হয়ে ওঠা সিদ্দারামাইয়াকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্রিয় হয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। ভাঙন এড়াতে দু’দিন আগেই রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর কড়া বার্তা দেন দলীয় নেতা, বিধায়কদের। বলা হয়, দলের নির্দেশ অমান্য করলে শাস্তি হবে। এর পরেই সিদ্দারামাইয়ার এই রাজনৈতিক ডিগবাজি। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, মুখে এ কথা বললেও, ভবিষ্যতে তিনি কী করেন, সে দিকেই তাকিয়ে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy