Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের সভা ঘিরে তটস্থ বরাক প্রশাসন

পথচলতি জনতা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য শোনার চেয়ে পুলিশের সাজসজ্জার দিকেই বেশি তাকিয়ে থাকেন। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৪৮
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

বাঙালি-প্রধান হলেও বরাক উপত্যকায় তৃণমূলের তেমন সংগঠন গড়ে ওঠেনি। তবু সিএএ-বিরোধী আন্দোলন বলে কথা! বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি পুলিশ। অবস্থান-কর্মসূচি ও সভার অনুমতি চাইতে গেলে শর্ত জুড়ে দেয়, ৫০ জনের বেশি যেন না-হয়। শিলচরে তৃণমূলের অবস্থান-কর্মসূচিতে অবশ্য আজ ৩০ জনের বেশি জড়ো হননি।

প্রশাসনের কর্তারা তবু ভরসা পাচ্ছিলেন না। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ করে দেওয়া হয় শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তির আশপাশ। কনস্টেবল থেকে ইনস্পেক্টর, সকলের শ্যেনদৃষ্টি অবস্থান-কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ওই অল্প ক’জনের উপরে। সারা ক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয় পুলিশের দাঙ্গারোধী স্কোয়াডকে। পরনে পাথরবৃষ্টি ঠেকানোর বিশেষ বর্ম। পথচলতি জনতা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য শোনার চেয়ে পুলিশের সাজসজ্জার দিকেই বেশি তাকিয়ে থাকেন।

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে থাকার কথা ছিল রাজ্যসভার সদস্য সুখেন্দুশেখর রায়ের। তিনি অসমে দলের পর্যবেক্ষকও। অন্য জরুরি কাজে আটকে পড়ায় মোবাইলে তাঁর রেকর্ড করা বক্তৃতা শোনানো হয়। লোকসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শিলচরে মোবাইলে বক্তৃতা করেছিলেন। কলকাতার মেয়র ফারহাদ হাকিম অবশ্য সেই সভায় উপস্থিত থেকে লাইভ শোনানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।

সুখেন্দুবাবুর বক্তৃতার বক্তব্য ছিল, ‘‘সিএএ সংবিধানবিরোধী। এই আইন চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজেপি বড় ভুল করবে।’’ গেরুয়াবাহিনীকে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ‘‘ভারতের মানুষ আগে ব্রিটিশকে তাড়িয়েছিল, ইন্দিরা গান্ধীকেও ছাড় দেয়নি। জরুরি অবস্থা জারি করায় তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। ইতিহাস থেকে শিক্ষা না-নিলে মোদী, সোনোয়ালদের পতন আসন্ন। সভায় তৃণমূলের জেলা সম্পাদক এম শান্তিকুমার সিংহ ছাড়াও নির্মলকুমার দাস, মৃণালকান্তি সোম, মানস দাস— এই তিন বামপন্থী নেতাও বক্তৃতা করেন।

Silchar TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy