হরিয়ানা পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (এডিজি) ওয়াই পূরণ কুমারের মৃত্যুর ঘটনায় আইজি পুষ্পেন্দ্র কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল চণ্ডীগড় পুলিশ। দ্রুত এই তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিংহ সাইনির কাছে চিঠি লিখেছিলেন পূরণ কুমারের স্ত্রী অমনীত কুমার। এই ঘটনায় নিজেদের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্তেরা তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারেন বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন অমনীত। একটি এফআইআর দায়ের করেছেন তিনি । সেখানে ডিজি শত্রুজিৎ কপূর এবং রোহতকের পুলিশ সুপার নরেন্দ্র বিজার্নিয়া-সহ ১৩ পুলিশ আধিকারিকের নাম উল্লেখ করছেন।
ঘটনাচক্রে, পূরণ কুমারের লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটে এই পুলিশ আধিকারিকদের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এডিজি-র মৃত্যুতে ক্ষোভের আঁচ হরিয়ানা ছাড়িয়ে অন্য রাজ্যগুলিতেও ছড়াচ্ছে। দলিত সংগঠনগুলি এবং রাজনীতিকেরা দ্রুত বিচার এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তুলেছে।
হরিয়ানার অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ডি সুরেশ কুমার বলেন, ‘‘স্বচ্ছ এবং দ্রুত তদন্ত যাতে হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিজি শত্রুজিৎ কপূর এবং রোহতকের পুলিশ সুপারকে গ্রেফতারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত এবং এই প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও রকম বাধা না আসে, সে দিকটাও নজর রাখা হবে।’’ এডিজি-র আত্মহত্যার ঘটনায় বিপুল সমালোচনার মুখে হরিয়ানা সরকার এবং রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর চণ্ডীগড়ের বাড়ি থেকে এডিজি-র গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে তেমনটাই জানা গিয়েছে। পূরণ কুমারের মৃত্যুতে দুই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তাঁর স্ত্রী অমনীত। তাঁদের বিরুদ্ধে পূরণ কুমারকে মানসিক হেনস্থা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, এই দুই পুলিশকর্তার দ্রুত গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছেন আত্মঘাতী এডিজি-র স্ত্রী।