Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Morbi

মূল তার ক্ষয়ে গিয়েছিল, সেতু খোলার অনুমোদন নেওয়া হয়নি, বলছে মোরবি বিপর্যয়ের রিপোর্ট

পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দলের রিপোর্ট বলছে, সেতুর দু’টি তারের মধ্যে একটির ক্ষয়জনিত সমস্যা ছিল। যে কোনও সময়েই সেখান থেকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। পুরনো কেবল বা তারগুলি বদল করা হয়নি।

SIT report says main cable corroded before collapsed Morbi bridge of Gujarat

মোরবি ঝুলন্ত সেতুর তার পরিবর্তন করা হলে এত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলে দাবি করা হয়েছে। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আমদাবাদ শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৫৩
Share: Save:

গুজরাতের মোরবিতে সেতু বিপর্যয় নিয়ে তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক গাফিলতির অভিযোগ। এ বার বিশেষ তদন্ততকারী দল বা সিটের রিপোর্টে উঠে এল নতুন তথ্য। গত বছর ১৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটা মোরবি সেতুর দু’টি প্রধান তার আগেই ক্ষয়ে গিয়েছিল। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত ৩০ অক্টোবর বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার আগেই বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল সেতুটি।

গুজরাত সরকারের নির্দেশে তৈরি তদন্তকারী দল সেতু বিপর্যয়ের জন্য মূলত দায়ী করছে বরাত পাওয়া সংস্থাকে। অজন্তা ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড নামে সংস্থাটি ছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি সেতুর সংস্কারের দায়িত্বে।

গত বছরের ডিসেম্বরে জমা হয়েছিল সেতু বিপর্যয়ের প্রাথমিক রিপোর্ট। এখন সেটা মোরবি পুরসভাকে দেওয়া হয়েছে। তাতে উঠে এসেছে, সংস্কারে নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার থেকে শুরু করে যে ঠিকাদার সংস্থা সংস্কারের কাজ করেছিল, তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন। সেতুটির লোকধারণের ক্ষমতা কত, তা বিবেচনা না করেই সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দলের রিপোর্ট এ-ও বলছে, সেতুর দু’টি তারের মধ্যে একটির ক্ষয়জনিত সমস্যা ছিল। যে কোনও সময়েই সেখান থেকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। তদন্তকারীরা এ-ও বলছেন, সেতু সংস্কারের সময় পুরনো কেবল বা তারগুলি বদল করা হয়নি। অনেক তারেই মরচে পড়ে গিয়েছিল। সেই তারে রং করেই চকচকে রূপ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সেতুর ৪৯টি তারের মধ্যে ২২টিতে ক্ষয় দেখা গিয়েছিল। ২৭টি তার দুর্ঘটনার সময় ছিঁড়ে পড়ে।

মোরবি ঝুলন্ত সেতুর তার পরিবর্তন করা হলে এত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলে দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, সংস্কারের কাজে যে ঠিকাদার সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে, সংস্কারের পর সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আগে বরাত পাওয়া ওরেভা সংস্থা সরকারি আনুমোদন নেয়নি।

১৪৩ বছরের পুরনো সেতুটি সাত মাস ধরে সংস্কারের পরে সদ্য খোলা হয়েছিল গত নভেম্বরে। তার পরেই ঘটে যায় মর্মান্তিক বিপর্যয়। শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। রিপোর্ট বলছে, ভেঙে পড়ার সময় সেতুটিতে প্রায় ৩০০ লোক ছিলেন, যা সেতুর বহন ক্ষমতার চেয়ে বেশি। ইতিমধ্যে মোরবি পুলিশ ওরেভা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়সুখ প্যাটেল-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Morbi Bridge
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE