Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Sitaram Yechury

ত্রিপুরায় সরব ইয়েচুরিরা

বিরোধীদের অভিযোগ, সারা ত্রিপুরা জুড়েই বিরোধীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। উত্তর ত্রিপুরা জেলা থেকে দক্ষিণ ত্রিপুরার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা আক্রান্ত হয়েছেন।

Picture of Sitaram Yechury.

সীতারাম ইয়েচুরি। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আগরতলা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:২১
Share: Save:

বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, হিংসার অভিযোগ ততই বাড়তে শুরু করেছে ত্রিপুরায়। বিরোধীদের দাবি, জনতার ক্ষোভ আঁচ করে শাসক বিজেপি ভোটে গন্ডগোল পাকাতে চাইছে। আজ আগরতলায় সিপিএমের রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি অভিযোগ তুললেন যে, রাজ্যে ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করবে বিজেপি। ভোটে জিততে শাসক দল অর্থ ও পেশিশক্তির ব্যবহার করছে। ইয়েচুরির সঙ্গে ওই সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।

বিরোধীদের অভিযোগ, সারা ত্রিপুরা জুড়েই বিরোধীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। উত্তর ত্রিপুরা জেলা থেকে দক্ষিণ ত্রিপুরার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা আক্রান্ত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে কয়েকটি এলাকায় পথ অবরোধ-সহ বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিও চালায়।

ইয়েচুরি আজ বলেন, ‘‘মানুষ বিজেপির অপশাসন থেকে মুক্তি চাইছেন। শান্তি ফিরিয়ে এনে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে রাজ্যের মানুষ একজোট হয়েছেন।’’

ইয়েচুরির আরও দাবি, নির্বাচন কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাটতি রয়েছে, এই যুক্তি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, মাত্র তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। ভোটের দিন দুয়েক আগেও রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হবে এবং প্রচুর অর্থ বিলি করা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। ভোটের আগে ত্রিপুরায় হিংসা রুখতে নির্বাচন কমিশনের সক্রিয়তা দাবি করে কমিশন কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন সিপিএমের পলিটবুরোর সদস্য নীলোৎপল বসু ও কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sitaram Yechury CPM BJP Tripura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE