Advertisement
E-Paper

নারী নিগ্রহে অভিযুক্তদের প্রার্থী করে সব দলই

রাজ্যওয়াড়ি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গও পিছিয়ে নেই। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কাঠুয়া, উন্নাও, সুরাত— একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল দেশ। নারী নিগ্রহের অজস্র ঘটনাও ঘটছে। কিন্তু তা বলে নারী নিগ্রহের মামলায় জড়িত নেতাদের ভোটে টিকিট দেওয়ায় খামতি নেই রাজনৈতিক দলগুলির। আর এর শীর্ষে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। রাজ্যওয়াড়ি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গও পিছিয়ে নেই।

বেসরকারি নজরদার সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) গোটা দেশের প্রায় সব বিধায়ক ও সাংসদের হলফনামা খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। ভোটে লড়ার সময়ে বহু নেতা নিজেরাই হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নারী নিগ্রহের মামলা রয়েছে। গত ৫ বছরের সেই হিসেবই বলছে, গোটা দেশে বিধায়ক ও সাংসদদের মধ্যে বিজেপির এমন নির্বাচিত নেতার সংখ্যা ১২। তার পরেই শিবসেনার ৭, তৃণমূলের ৬। আর রাজ্যওয়াড়ি হিসেবে মহারাষ্ট্রের পরেই নাম পশ্চিমবঙ্গের।

টিকিট পেয়েছেন, অথচ জেতেননি এমন নেতার সংখ্যাতেও শীর্ষে বিজেপি— ৪৭। এর পরেই বিএসপি ৩৫, কংগ্রেস ২৪, শিবসেনা ২২, এসপি ১৭, তৃণমূল ১২, সিপিএম ১২ এবং সিপিআই ১০। এডিআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সব বিধায়ক ও সাংসদের বিরুদ্ধে অপহরণ, দেহব্যবসার জন্য নাবালিকা কেনা, জোর খাটিয়ে বিয়ে দেওয়া, এমনকী তিন বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণেরও মামলাও ছিল। ২০১৪ সালে ভোটে লড়ার সময়ে অন্ধ্রের এক তেলুগু দেশম নেতা, ২০১৭ সালে গুজরাতে বিজেপি নেতা জেথাভাই আহির ও ২০১৫ সালে আরজেডি-র গুলাব যাদবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল।

ধর্ষণ ও নারী নিগ্রহের কোনও ঘটনা ঘটলে রাজনৈতিক দলের নেতারা রে-রে করে ওঠেন। তার পরে এমন মামলায় অভিযুক্ত নেতাদের সব দলই কেন টিকিট দেয়, সে প্রশ্ন উঠেছে।

সব দলেরই যুক্তি— অনেক ক্ষেত্রে নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এমন মামলা দেওয়া হয়। আবার নির্বাচনের প্রার্থী হতে গেলে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা পেশ করতে হয়। সেই হলফনামায় বকেয়া মামলাগুলির বিবরণ দিতেই হয়। পরে নেতারা সেই মামলা থেকে পরে নিষ্কৃতি পেতে পারেন। আবার যাঁরা দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাঁরা সাজা ভোগ করবেন। আইন অনুযায়ীই পদক্ষেপ হবে। কোনও কেন্দ্রে প্রার্থী যদি জনপ্রিয় হন, ‘সাজানো মামলা’র জন্য তাঁকে প্রার্থী করা যাবে না— এমনটাও ঠিক নয় বলে মনে করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

কিন্তু সাংসদ বা বিধায়ক হওয়ার পরে অভিযুক্তরা যে মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রভাব খাটাবে না, তার কী নিশ্চয়তা রয়েছে? এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য মেলা ভার।

Woman Girl MP MLA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy