হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু এবং ছয় বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক। —ফাইল চিত্র ।
দলের বিদ্রোহী ছয় বিধায়ককে ‘কাল সাপ’ বলে মন্তব্য করলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। সুখুর অভিযোগ, কংগ্রেসের ওই ছয় বিধায়ক নিজের সম্মান বিক্রি করেছেন। দরিদ্র মানুষের জন্য তৈরি বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না দিয়ে সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। শুক্রবার সোলান জেলার কসৌলি বিধানসভা কেন্দ্রের ধরমপুরে একটি জনসভায় বক্তৃতা করার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। সুখু বলেন, ‘‘যে সব বিধায়ক অর্থের জন্য নিজেদের সম্মান বিক্রি করে তাঁরা কী ভাবে তাঁদের এলাকার মানুষের সেবা করতে পারেন! যাঁরা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, রাজনীতিতে তাঁদের কালসাপ বলা হয়।’’
সুখু যোগ করেছেন, ‘‘যদি কেউ নিজের ভুল বুঝতে পারেন তবে তাঁকে ক্ষমা করা যেতে পারে। তবে গত ৭২ ঘণ্টা ধরে তাঁরা যে অবস্থানে রয়েছেন, সেখান থেকে তাঁদের বেরিয়ে আসা উচিত। যাঁরা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন এবং রাজ্যের জনগণের অনুভূতির সঙ্গে খেলা করেছেন, তাঁদের স্বয়ং ভগবানও রক্ষা করবেন না’’।
হিমাচলপ্রদেশে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন সুখু। সুখুর কথায়, ‘‘আমি এখানে রাজ্যের জনগণের জন্য এবং উন্নয়নের জন্য সব সময় রয়েছি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, তাতে আমি ভয় পাই না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি কোনও মূল্যে রাষ্ট্রের সম্পদ লুট হতে দেব না। আমার জনগণ আমার শক্তি এবং আমি শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত তাদের সেবা করতে বদ্ধপরিকর।’’
উল্লেখ্য যে, দলীয় হুইপ অমান্য করে বুধবার রাজ্য বিধানসভায় সরকারের বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না-দেওয়ার কারণে কংগ্রেসের বিদ্রোহী ছয় বিধায়কের পদ খারিজ করেছেন সে রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিংহ পঠানিয়া। ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হচ্ছে। বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে ইতিমধ্যেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হিমাচল প্রদেশের বিদ্রোহী ছয় কংগ্রেস নেতা। পদ খারিজ হওয়া বিধায়কেরা হলেন, রবি ঠাকুর (লাহুল-স্পিতি), রাজেন্দ্র রানা (সুজনপুর), সুধীর শর্মা (ধরমশালা), ইন্দ্রদত্ত লক্ষণপাল (বারসার), চৈতন্য শর্মা (গগরেট), দেবেন্দ্র ভুট্টো (কুটলেহা)। গত মঙ্গলবার তাঁরা হিমাচলের একটি রাজ্যসভা আসনের জন্য ভোটাভুটির সময় বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজনের সমর্থনে ‘ক্রস ভোটিং’ করেছিলেন। এর পর বুধবার দলীয় হুইপ অমান্য করে বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের ভোটাভুটি থেকে বিরত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy