জয়পুর থেকে আসা ইন্ডিগোর একটি বিমানে ধোঁয়া বেরোতে থাকায় সোমবার রাতে সেটি কলকাতায় জরুরি অবতরণ করে। কিন্তু আর একটু দেরি হলেই আকাশে সেই বিমানের যাত্রীদের দমবন্ধ হয়ে বড়সড় বিপর্যয় ঘটতে পারত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
বড় বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করে সরাসরি বিমান মন্ত্রকের অধীন এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বুরো (এএআইবি)। ইন্ডিগোর বিমানের ওই ঘটনাতেও ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নেমেছে তারা। বুধবার এএআইবি-র ডিরেক্টর জেনারেল অরবিন্দ হান্ডা কলকাতায় আসেন।
তদন্তকারীরা জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, সে-দিন ইঞ্জিনের ভিতরে ইঞ্জিন অয়েলে ফুলকি পড়ে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। কোনও ভাবে এসি-র ঠান্ডা হাওয়ার পাইপে ঢুকে পড়ে সেই ধোঁয়া। কলকাতায় নামার মিনিট দশেক আগে পাইলট জরুরি অবতরণের অনুমতি চান। জানান, ককপিট ও যাত্রী কেবিন ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। রূপালি নামে এক যাত্রী জানান, মাথা নিচু করে শ্বাস নিতে হচ্ছিল। দম বন্ধ হয়ে আসছিল। তদন্তকারীদের মতে, এসি-র মধ্যে ইঞ্জিন অয়েলের ধোঁয়া যদি আধ ঘণ্টা আগে ঢুকে পড়ত, তা হলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে পারত।