রাজ্যসভা কিংবা শিক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইট-- সবেতেই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা দ্বাদশ শ্রেণি পাশ। কিন্তু গত কাল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি হঠাৎ দাবি করে বসেন, তিনি আমেরিকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী।
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় আজ নিজের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন স্মৃতি। তাঁর কথায়, “দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমার শংসাপত্রের ভুল ভাবে ব্যাখ্যা হয়েছে।” কিন্তু সংবাদমাধ্যম নাকি স্বয়ং মন্ত্রী, কে ভুল ব্যাখ্যা করেছে সে বিষয়ে অবশ্য না তিনি মুখ খুলছে না তাঁর মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী স্মৃতি। কিন্তু শুরু থেকেই বিতর্কের শিকার তিনি। ২০০৪ ও ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের হলফনামায় দু’ধরনের শিক্ষাগত যোগতা নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে বিরোধীরা তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব হন। আর যে ব্যক্তির ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি নেই, তাঁকে দেশের শিক্ষামন্ত্রী করা উচিত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।
এই পরিস্থিতিতে গত কাল একটি অনুষ্ঠানে স্মৃতি হঠাৎ দাবি করে বসেন তাঁর ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি রয়েছে। যা নতুন করে বিতর্ক উস্কে দেয়। মাত্র ছ’দিন ক্লাস করে কী ভাবে ডিগ্রি পাওয়া সম্ভব, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে আজ প্রথমে টুইট করেন স্মৃতি। দাবি করেন, “আমার ওই কোর্সে যোগদান ও শংসাপত্র নিয়ে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।” পরে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, স্মৃতি ইরানি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাংসদদের সঙ্গে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘লিডারশিপ’ বা নেতৃত্ব সংক্রান্ত একটি ছ’ দিনের কোর্স করতে গিয়েছিলেন। তা সফল ভাবে শেষ করার পর তাঁকে একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy