এইচ-১বি ভিসার আবেদনকারীর সমাজমাধ্যমে আতসকাচ ধরছে আমেরিকা। তিনি কী পোস্ট করেছেন, কোন পোস্টে কী মন্তব্য করেছেন, তা খতিয়ে দেখার পরেই ভিসার আবেদন মঞ্জুর করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। গত ৩ ডিসেম্বর এইচ-১বি ভিসা নিয়ে নতুন কিছু নিয়মবিধির কথা বলেছিল আমেরিকার বিদেশ দফতর। তার ভিত্তিতে সোমবার থেকে গোটা বিশ্বেই এই যাচাইপ্রক্রিয়া কার্যকর করা হল।
এইচ-১বি আমেরিকার একটি অ-অভিবাসী ভিসা, যার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীরা সাময়িক ভাবে আমেরিকায় থেকে সেখানকার সংস্থার হয়ে কাজ করতে পারেন। এইচ-১বি ভিসা নিয়ে প্রতি বছর ভারত থেকেও বহু মানুষ আমেরিকায় যান। মার্কিন প্রশাসনের দেওয়া তথ্য বলছেন, এই ভিসা নিয়ে গোটা বিশ্ব থেকে যত জন আমেরিকায় যান, তাঁদের ৭০ শতাংশই ভারতীয়। সেই কারণেই এইচ-১বি ভিসা নিয়ে কড়াকড়ির জেরে ভারতীয়রাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ভিসা আবেদনকারীর সমাজমাধ্যমের প্রোফাইল খুঁটিয়ে দেখা হবে। খতিয়ে দেখা হবে ‘লিঙ্কডইন’ প্রোফাইলও। এমনকি যাঁরা আবেদনকারীর উপর নির্ভরশীল (তাঁর স্বামী বা স্ত্রী, অবিবাহিত নাবালক সন্তান), তাঁদের এইচ-৪ ভিসা মঞ্জুর করার ক্ষেত্রেও এই যাচাইপ্রক্রিয়া চলবে।
আবেদনকারীর পরিবারের কোনও সদস্য ভুল তথ্য ছড়ানো বা তথ্যবিকৃতির মতো ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না, তা-ও যাচাই করা হচ্ছে। আবেদনকারী যদি কারও বাক্স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন, সে ক্ষেত্রে খারিজ হয়ে যেতে পারে তাঁর ভিসার আবেদন। তাই আমেরিকার বিদেশ দফতরের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, আবেদনকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য তাঁদের সমাজমাধ্যমে ‘পাবলিক’ করে রাখতে হবে। অর্থাৎ, সেগুলি লুকিয়ে রাখা যাবে না। সমাজমাধ্যমে তাঁদের কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করেই ভিসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ট্রাম্প প্রশাসন।