বিরোধী জোট। —ফাইল চিত্র।
গোবলয়ে ধরাশায়ী হওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় কংগ্রেসের রমরমা কমেছে। যার উল্টোটাই হবে বলে (অর্থাৎ কংগ্রেস প্রবল প্রতাপশালী হবে) ধরে নিয়েছিল জোট শরিকরা। তাই দুর্বল কংগ্রেসের সামনে এ বার কিছুটা গা-ঝাড়া দিয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে কিছু শরিক দলকে।
জোটের সলতে পাকানোর পর্বে প্রবল উৎসাহ নিয়ে যিনি ইনিংস শুরু করেছিলেন এবং পরে কিছুটা ম্রিয়মান হয়ে পড়েন, তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নির্বাচনে কংগ্রেস মুখ থুবড়ে পড়ায় নড়েচড়ে বসেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘জ্বর হয়েছিল বলেই বুধবারের প্রস্তাবিত ইন্ডিয়ার বৈঠকে থাকতে পারিনি। কিন্তু ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে জোটের বৈঠক হলে অবশ্যই যোগ দেব।’’
বিতর্ক দানা বাঁধে নীতীশ ও অখিলেশের অনুপস্থিতি নিয়ে। তবে বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই মুখ খোলেন নীতীশ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেডিইউ নেতা বলেন, “খবরে বলছে আমি নাকি বৈঠকে যোগ দেব না। সেটা কি হতে পারে? আমার জ্বর হয়েছে বলেই ওদের না বলতে হল। আগামী বৈঠকে আমি অবশ্যই যাব। কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।” তাঁর এই নতুন করে তৈরি হওয়া উৎসাহের পাশাপাশি, জেডিইউ-র সাংসদ রামনাথ ঠাকুর আজ বলেছেন, “ইন্ডিয়া ব্লকের সবচেয়ে যোগ্য আহ্বায়ক হতে পারেন নীতীশ কুমার। বিহারে নীতীশ যে ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন তা ইন্ডিয়ার নেতৃত্বের জায়গা তাঁকে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে।”
অন্য দিকে, শিবসেনা (ইউটিবি)-র সাংসদ সঞ্জয় রাউত আবার ভাসিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরের নাম। তাঁর কথায়, “উদ্ধব ঠাকরে হিন্দুত্ববাদী। তাঁর জাতীয়তাবাদী মুখ রয়েছে। ইন্ডিয়ার সদস্যদের অনুমোদন পেলে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হতেই পারেন।
তবে আমি এখনই এই নিয়ে বাইরে কিছু বলতে চাই না, যা থেকে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে। তবে এই নিয়ে আলোচনা হবে। এক জন প্রধানমন্ত্রীর মুখ থাকা অবশ্যই জরুরি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy