Advertisement
E-Paper

বোনকে বেশি ভালবাসেন! সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে পরিচারকের সঙ্গে মিলে বাবাকে খুন ছেলের

গত ২৮ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন রমেশ। সেই নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর মেয়ে। যদিও তার পরেও বৃদ্ধের কোনও খোঁজ মেলেনি।

একটি নর্দমায় প্লাস্টিকে মোড়ানো অবস্থায় পড়েছিল বৃদ্ধের দেহ।

একটি নর্দমায় প্লাস্টিকে মোড়ানো অবস্থায় পড়েছিল বৃদ্ধের দেহ। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৪৫
Share
Save

৬৭ বছরের বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগ উঠল পুত্রের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির পরিচারকের সঙ্গে মিলে বাবাকে খুনের ছক কষেছিলেন ৩৫ বছরের পুত্র। শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লির ঘটনা।

পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রমেশ ভরদ্বাজ। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির নারেলায় একটি নর্দমায় প্লাস্টিকে মোড়ানো অবস্থায় পড়েছিল তাঁর দেহ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন রমেশ। সেই নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর মেয়ে। যদিও তার পরেও বৃদ্ধের কোনও খোঁজ মেলেনি। রমেশের দেহ মেলার পরে স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। তাঁর বাড়ির এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখে। তাতেই নিখোঁজ হওয়ার আগে পরিচারক জিতেন্দ্রের বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা যায় রমেশকে। এর পর জিতেন্দ্র এবং তাঁর ১৯ বছরের পুত্র বিশালের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। কিন্তু তাঁদের খোঁজ মেলেনি।

শেষে পুলিশ জিতেন্দ্রের মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁকে এবং তাঁর পুত্রকে গ্রেফতার করে। জেরায় বিশাল স্বীকার করেন যে, বাবা জিতেন্দ্রের সঙ্গে মিলে তিনি খুন করেছেন রমেশকে। তবে এ সবই করেছেন রমেশের পুত্র লব ভরদ্বাজের নির্দেশে। এর পরে লবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় তিনি জানিয়েছেন, বাবা রমেশ তাঁর বোনকে বেশি ভালবাসতেন। তাঁকে সম্পত্তি দিয়ে দিচ্ছিলেন। লবকে পরিবার নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেও বলেন। এর পরেই পরিচারকের সঙ্গে মিলে বাবাকে খুনের তিনি ছক কষেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই বাবদ লব ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন জিতেন্দ্রকে।

Servant Delhi

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}