এ যেন আর এক অভাগী আর কাঙালীর গল্প। শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সেই অমর গল্পে মায়ের মৃত্যুর পর তাঁকে দাহ করার টাকাটাও জোগাড় করে উঠতে পারেনি কাঙালী। শেষে নদীর চরে গর্ত খুঁড়ে অভাগীর দেহ পুঁতে দেয় সে। বাস্তবেও যেন অভাগী আর কাঙালী হয়ে রইলেন সুরজিত্ সিংহ এবং তাঁর ছেলে মনোজ।
আরও পড়ুন: ডোকলাম বিতর্কে দিল্লির পাশে জাপান
অনেক দিন ধরেই রোগে ভুগছিলেন পঞ্জাবের ভাতিন্ডার বাসিন্দা সুরজিত্ সিংহ। বাবার দেখাশোনা করত ছোট্ট মনোজ। আর্থিক অনটনের কারণে দু’বেলা ঠিকমতো খাবারই জুটত না বাবা-ছেলের। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটা গুরুদ্বারে গিয়ে খেয়ে আসত মনোজ। এ দিকে, চিকিত্সার অভাবে ক্রমেই শরীর ভেঙে পড়েছিল সুরজিতের। শয্যাশায়ী হয়ে পড়ছিলেন ধীরে ধীরে। কয়েক দিন আগেই মারা যান সুরজিত্।