Advertisement
০৫ মে ২০২৪

বাবার খুনের বিচার চেয়ে সরব ছেলে

নিন্দু লাংথাসার খুনের বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুললেন তাঁরই ছেলে ড্যানিয়েল লাংথাসা। উত্তর কাছাড় স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদের বর্তমান কর্মকর্তাদের দিকেই তিনি অভিযোগের আঙুল দেখান।

মরিয়া: এ ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচার চাইছেন ড্যানিয়েল। ছবি: ফেসবুক

মরিয়া: এ ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচার চাইছেন ড্যানিয়েল। ছবি: ফেসবুক

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৭ ০২:০৮
Share: Save:

নিন্দু লাংথাসার খুনের বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুললেন তাঁরই ছেলে ড্যানিয়েল লাংথাসা। উত্তর কাছাড় স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদের বর্তমান কর্মকর্তাদের দিকেই তিনি অভিযোগের আঙুল দেখান।

২০০৭ সালে পরিষদ নির্বাচনের আগে জঙ্গিরা আলোচনার জন্য ডেকে পার্বত্য পরিষদের মুখ্য কার্যবাহী সদস্য পূর্ণেন্দু লাংথাসা ও কার্যবাহী সদস্য নিন্দু লাংথাসাকে খুন করে। ড্যানিয়েলের কথায়, ‘‘১০ বছর ধরে বাবার মৃত্যুর জ্বালা বুকে নিয়ে কোনও রকমে বেঁচে রয়েছি। দুঃখ হয়, যে জঙ্গিরা বাবার মৃত্যুর জন্য দায়ী, তারাই আজ বিজেপির নেতা, পাহাড়ি জেলায় রাজনীতির মাথা। তারাই ডিমা হাসাও জেলার মানুষের ভাগ্যবিধাতা।’’

পূর্ণেন্দুবাবু ও নিন্দুবাবুকে খুনের পর ডিএইচডি (জুয়েল) কৃতিত্বের সঙ্গে এর দায়িত্ব স্বীকার করেছিল। পরে ২০০৯ সালে তারা অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসে।

ড্যানিয়েলের বক্তব্য, ২০১৩ সোশ্যাল মিডিয়ায়সালের পরিষদ নির্বাচনে তাঁদের কয়েক জন নেতা জয়ী হন। এখন ওই প্রাক্তন জঙ্গিরাই পরিষদের শাসন ক্ষমতায়।

প্রয়াত নিন্দু লাংথাসার ছেলে ড্যানিয়েল ফেসবুকে বলেনছেন—‘তারা শুধু আমার বাবাকে খুন করেনি। অনেক মানুষকে মেরেছে। ওরাই পরে আত্মসমর্পণ করে বিলাসী গাড়ি-সহ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। পাশাপাশি বড় রাজনৈতিক নেতাও।’ অনেকটা জেহাদের সুরে তিনি জানিয়ে দেন, এই প্রাক্তন জঙ্গিদের ভয়ে জেলার মানুষ আতঙ্কিত হলেও তিনি কাউকে ভয় করেন না।

পূর্ণেন্দু লাংথাসা শুধু মুখ্য কার্যবাহী সদস্যই ছিলেন না, তিনি তৎকালীন শাসকদলীয় বিধায়ক গোবিন্দচন্দ্র লাংথাসার ছেলেও। নিন্দুবাবুও গোবিন্দবাবুর নিকটাত্মীয়। পাহাড়ি জেলার দু’জনই তখন ছিলেন ‘হাই-প্রোফাইল’ নেতা। এর পরও তাঁদের খুনের দোষীদের শাস্তি না হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ড্যানিয়েলের প্রশ্ন, ‘তা হলে সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা আর কোথায়?’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE