এক বার নয়, রাজা রঘুবংশীকে তিন বার খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তিন বার ব্যর্থ হওয়ার পর শেষে ভাড়াটে খুনি দিয়ে রাজাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। এ ক্ষেত্রে ‘প্রেমিক’ রাজ কুশওয়াহার সাহায্য নিয়েছিলেন রাজার স্ত্রী সোনম।
পূর্ব খাসি হিলসের পুলিশ সুপার বিবেক সিয়েম জানিয়েছেন, রাজাকে তিন বার খুনের চেষ্টা ভেস্তে গিয়েছিল। কিন্তু চতুর্থ বার আরও প্রস্তুতি নিয়ে এবং পরিকল্পনা করে রাজাকে খুনের জায়গা বাছা হয়। তার পর খুন করে দেহ ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, রাজাকে প্রথম বার খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল গুয়াহাটিতে। তার পর দেহ লোপাটেরও পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু কোনও কারণবশত সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুয়াহাটিতে রাজাকে খুনের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় মেঘালয়ে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন সোনম। রাজও তাঁদের অনুসরণ করছিলেন। মেঘালয়ের নোংরিয়াটেও যখন রাজা এবং সোনম পৌঁছোন, সেখানেও রাজাকে আরও এক বার খুনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু নোংরিয়াটে দেহ ফেলার জন্য পছন্দ মতো জায়গা খুঁজে পাননি সোনমেরা। তাই সেই পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়। তৃতীয় বার রাজাকে মাওলাখিয়াত এবং ওয়েইসডংয়ের মাঝে খুন করার চেষ্টা করেন সোনম। সেই চেষ্টাও বিফলে যায়। চতুর্থ বার কিন্তু তাঁদের চেষ্টা বিফলে যেতে দিতে চাননি সোনম-রাজেরা। তিন বার ব্যর্থ হওয়ার পর রাজের সাহায্যে ভাড়াটে খুনি নিয়ে আসা হয়। তার পর তাদের কাজে লাগিয়ে ওয়েইসডংয়েই রাজাকে খুন করা হয়। তার পর তাঁর দেহ ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, বিয়ের পর গুয়াহাটিতে পৌঁছোন রাজা এবং সোনম। সেখানে কামাখ্যা মন্দির দর্শনের কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু গুয়াহাটিতে রাজাকে খুনের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় শিলং এবং সোহরায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেন সোনম। প্রসঙ্গত, ২৩ জুন থেকে নিখোঁজ হয়ে যান রাজা এবং সোনম। গত ২ জুন রাজার দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু সোনমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাজা এবং সোনমের গতিবিধি, স্থানীয় গাইড এবং হোমস্টের সিসিটিভি ফুটেজ-সহ বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। আর সেই সূত্র ধরে প্রথমে তিন ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর সোনমের ‘প্রেমিক’ রাজকে। তার পর গত ৯ জুন উত্তরপ্রদেশে সোনমের হদিস মেলে। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।