মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের যুবক রাজা রঘুবংশীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর নববিবাহিত স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। সোমবার তাঁকে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুরে একটি ধাবা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে নিয়ে মেঘালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে শিলং পুলিশ।
সূত্রের খবর, সড়কপথে তাঁকে প্রথমে বিহার নিয়ে যাওয়া হবে। তার পর কলকাতা। সেখান থেকে অসমের গুয়াহাটি হয়ে শিলঙে নিয়ে যাওয়া হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারির পর থেকেই খুব একটা কথা বলছেন না সোনম। গাজ়িপুর থেকে বিহার নিয়ে আসার পথে পুলিশের কথার কোনও উত্তর দিতে চাননি সোনম। তাঁকে খাবার দেওয়া হলেও খেতে চাননি। বার বার তাঁকে খাবার খাওয়ার জন্য বলা হলেও তিনি স্পষ্ট ‘না’ বলে দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোনম তাঁদের বার বার একটা কথাই জানিয়েছেন যে, তাঁর প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা করছে। ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। রাস্তায় বেশ কয়েক বার গাড়ি থামানো হয়। সোনমের বিশ্রামের ব্যবস্থা করার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। কিন্তু সোনম তাতে সম্মতি দেননি। এমনকি খাবার দেওয়া হলেও তা খেতে অস্বীকার করেছেন। পুলিশ বার বার তাঁকে কোনও কথা জিজ্ঞাসা করলে চুপ করে থাকছেন সোনম। কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেই শুধু একটাই উত্তর দিচ্ছেন, ‘‘আমার মাথা যন্ত্রণা করছে।’’
সোনমের গ্রেফতারির পর তাঁকে শিলং নিয়ে যাচ্ছে সে রাজ্যে পুলিশ। সঙ্গে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশও। উত্তরপ্রদেশের সীমা পার করিয়ে দেয় তারা। তার পর সেই গাড়ি পৌঁছোয় বিহারে। বিহার পুলিশ সেই গাড়ি ‘এসকর্ট’ করে নিয়ে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, পটনা থেকে বিমানে কলকাতা, সেখান থেকে গুয়াহাটি। তার পর শিলঙে নিয়ে যাওয়া হবে। এখন মেঘালয় পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ সোনমকে জেরা করে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আদায় করা। কারণ, এই ঘটনা মেঘালয় প্রশাসন এবং পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছিল। যদিও মেঘালয় পুলিশই এই নিখোঁজ রহস্যের উন্মোচন করেছে। কিন্তু বেশ কয়েকটি প্রশ্ন নিয়ে এখনও রহস্য এবং ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে। যে প্রশ্নের উত্তর সোনমই একমাত্র দিতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।