Advertisement
E-Paper

‘এক সপ্তাহ পরেও ওয়াংচুকের শারীরিক অবস্থা, গ্রেফতারির কারণ জানানো হয়নি!’ মুক্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি স্ত্রীর

লাদাখের রাজ্যের স্বীকৃতি এবং পরিবেশ রক্ষার দাবিতে দীর্ঘ দিন লড়াই করছেন ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক তথা সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক। বার বার অনশনও করেছেন তিনি। শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৫ ১০:০১
সোনম ওয়াংচুক।

সোনম ওয়াংচুক। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

লাদাখে বিক্ষোভের ঘটনায় ধৃত এবং জেলবন্দি ইঞ্জিনিয়র, গবেষক তথা সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুকের মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলি আংমো। সোনমের গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

এর পাশাপাশি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর কবীন্দ্র গুপ্তকে চিঠি লিখে তাঁর স্বামীর অবিলম্বে মুক্তি চেয়েছেন গীতাঞ্জলি। চিঠিতে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘জনগণের স্বার্থকে সমর্থন করা কি পাপ?’’ সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘সোনম ওয়াংচুকের মুক্তি চেয়ে আমি সুপ্রিম কোর্টে হেবিয়াস কর্পাস আবেদন করেছি। আজ এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে। তবুও আমার কাছে ওয়াংচুকের স্বাস্থ্য, তাঁর অবস্থা বা আটকের কারণ সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই।’’

লাদাখে অশান্তির তিন দিন পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওয়াংচুককে গ্রেফতার করা হয়। ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমায় আমির খানের ‘র‌্যাঞ্চো’ চরিত্রটি বানানো হয়েছিল তাঁরই আদলে। অনেকের তাঁকে বাস্তবের ‘র‌্যাঞ্চো’ বলেও ডাকেন। ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন জানিয়েছে। লাদাখ পুলিশের ডিজি এসডি সিংহ জামওয়ালের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী দুপুর আড়াইটায় ওয়াংচুককে তাঁর লেহর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল। সরকারি সূত্রের খবর, নিরাপত্তাজনিত কারণে লেহর জেলে না রেখে তাঁকে পাঠানো হয়েছে রাজস্থানের জোধপুর জেলে।

যদিও লাদাখবাসীর একাংশের ধারণা, লেহতে ওয়াংচুক সমর্থকদের বিক্ষোভের আঁচ যাতে কারাগারে এসে না পড়ে, সেই কারণেই জোধপুরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২৪ সেপ্টেম্বরে লাদাখে জেন জ়ির বিক্ষোভের পরেই বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন (ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট বা এফসিআরএ) লঙ্ঘনের অভিযোগে পদক্ষেপ করেছিল শাহের মন্ত্রক। সোনমের সংস্থা ‘স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখ’ (এসইসিএমওএল)-এর এফসিআরএ লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল। তার আগে শুরু হয়েছিল সিবিআই তদন্ত। ওয়াংচুকের সংস্থা এসইসিএমওএল এবং ‘হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভস লাদাখ’ (এইচআইএএল) এবং ‘স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখ’ (এসইসিএমওএল)-এর বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে বিদেশি অনুদান নেওয়ার অভিযোগে গত মাসে সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

Ladakh Situation Sonam Wangchuk Ladakh Unrest Ladakh Supreme Court Leh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy