কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপারিশ করেছিল ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় ভরসা রাখতে। কিন্তু ‘দ্য প্রিন্ট’ প্রকাশিত খবরে দাবি, অমিত শাহের মন্ত্রকের সেই সুপারিশ গ্রহণ করেননি মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি (অজিত) জোটের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। মহারাষ্ট্র পুলিশের কমান্ডো বাহিনী ‘ফোর্স ওয়ান’-এর জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি মার্কিন ব্যারেট মাল্টি-রোল অ্যাডপ্টিভ ডিজ়াইন (এমআরএডি) স্নাইপার রাইফেল, ৩০ হাজার বুলেট এবং সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের (টেলিস্কোপিক সাইট, মনোপড, ট্রাইপড, অতিরিক্ত ম্যাগাজ়িন এবং রাইফের রাখার বাক্স) বরাত দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্র সরকারের স্বরাষ্ট্র (পুলিশ) দফতর মার্কিন সংস্থা ‘ব্যারেট ফায়ারআর্মস ম্যানুফ্যাকচারিং ইনকর্পোরেটেড’-এর ভারতীয় অংশীদার ‘হিউজেস প্রিসিশন ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাইভেট লিমিটেড’-কে ওই বরাত দিয়েছে বলে প্রকাশিত খবরে দাবি। ঘটনাচক্রে, বিজেপি নেতা ফডণবীসই মহারাষ্ট্রের পুলিশমন্ত্রী। বেঙ্গালুরুর এসএসএস ডিফেন্স সংস্থার তৈরি .৩৩৮ লাপুয়া ম্যাগনাম স্নাইপার রাইফেল এনএসজি (ব্ল্যাক ক্যাট)-সহ কয়েকটি দেশি-বিদেশি কমান্ডো বাহিনী ব্যবহার করে। কিন্তু মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ স্লোগান দূরে ঠেলে মার্কিন রাইফেলে ভরসা রাখায় জল্পনা তৈরি হয়েছে সে রাজ্যের রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন:
যদিও এ ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র সরকারের একটি অংশের যুক্তি, আমেরিকা থেকে রাইফেলের যন্ত্রাংশ এনে সেগুলি ভারতেই জোড়া হবে। তাই একে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অংশ বলেই ধরে নেওয়া যায়। মুম্বইয়ে ২৬/১১ নাশকতার পর শহরাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী হামলা মোকাবিলায় ‘ফোর্স ওয়ান’ কমান্ডো বাহিনী গড়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। এনএসজি-র ধাঁচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই বাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক নানা বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও সরঞ্জাম আনা শুরু হয়েছিল গোড়া থেকেই। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে প্রায় দেড় দশক আগে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছিল প্রথম স্নাইপার রাইফেল ‘ঘাতক’। বিভিন্ন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা ব্যবহার করে। ভারতীয় সেনা রুশ ড্রাগোনভ, ইজ়রায়েলের আইএমআই গালিল, জার্মান সংস্থা ‘হেকলার অ্যান্ড কখ্’ নির্মিত পিএসজি১, জার্মানির মাউসার সংস্থার এসপি৬৬-র পাশাপাশি ব্যবহার করে এসএসএস ডিফেন্সের .৩৩৮ লাপুয়া ম্যাগনাম ‘সাবার’। অন্য দিকে, কয়েকটি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পুলিশের কমান্ডোবাহিনী ব্যবহার করে ‘ব্যারেট’।