নিঃশব্দে বদল ঘটল ছবিটির। পাশের বাড়ি দশ জনপথ থেকে প্রথমে হেঁটে আগে এলেন সনিয়া গাঁধী। তার পর সভাপতি রাহুল গাঁধী।
২৪ আকবর রোডে এআইসিসির সদর দফতর। সভাপতি হিসেবে রাহুলের প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। যেখানে সকলের শেষে প্রবেশ করেন সভাপতি। এত দিন সনিয়াই আসতেন শেষে। আজ এলেন রাহুল। ক’দিন আগেই দলের ভার ছেলের হাতে তুলে দিয়েছেন সনিয়া। স্বাধীন ভারতে কংগ্রেসের ইতিহাসে সব থেকে দীর্ঘ ইনিংস খেলে। আজ যখন রাহুল ওয়ার্কিং কমিটির সভাপতিত্ব করছেন, সনিয়া ঠায় বসে থাকলেন পাশে। গোটা বৈঠকে একটিও কথা বললেন না। কিন্তু তাঁকে নিয়েই বললেন সকলে। রাহুল, মনমোহন সিংহ থেকে বাকি সদস্যরা। পাশ হল সনিয়াকে নিয়ে প্রস্তাব। তাতে বলা হল, ইউপিএর জনমুখী কাজে শুধু সনিয়াই নয়, রাহুলেরও অবদান ছিল।
প্রস্তাবে তুলে ধরা হল, কঠিন সময়ে সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন সনিয়া। তাঁর নেতৃত্বে কেন্দ্রে কংগ্রেস শুধু দু’বার সরকার গঠন করেছে, তা-ই নয়। সনিয়া নিজেও ক্ষমতা স্বেচ্ছায় ত্যাগ করে দেশ ও দলের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। মনমোহনের সঙ্গে মিলে মানুষের অধিকার ভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প এনেছেন। এসেছে তথ্য জানার অধিকার, ১০০ দিনের কাজ, শিক্ষার অধিকার, খাদ্যের অধিকারের প্রকল্প।
রাহুল বলেন, ‘‘কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে যে ভূমিকা দেখিয়েছেন সনিয়াজি, তার জন্য ধন্যবাদ। তাঁর পরিশ্রমে কংগ্রেস শক্তি ও মর্যাদা পেয়েছে।’’ দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘সনিয়া গাঁধী ইউপিএ চেয়ারপার্সন হিসেবে রয়েছেন। তিনি দলের পথপ্রদর্শক।’’