বিজেপির নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেই নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের জল্পনায় উত্তাল রাজধানীর রাজনীতি।
সম্প্রতি একাধিক রাজ্যে রাজ্যপাল পরিবর্তন করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তোড়জোড় শুরু হয়েছে সভাপতি নির্বাচন নিয়েও। এই পরিস্থিতিতে দলের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে মন্ত্রিসভার পালাবদল নিয়েও। গত কাল বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত ছিলেন একাধিক শীর্ষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সূত্রের মতে, বৈঠকে আসন্ন বাদল অধিবেশনের সংসদীয় রণকৌশল ছাড়াও মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য রদবদল নিয়েও আলোচনা হয়। সূত্রের দাবি, যে সব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যসভার সদস্য এবং যাঁদের রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে, তাঁদের মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দলের কাজে আনার কথা ভাবা হয়েছে। দলীয় সূত্রের মতে, এ বছরের শেষে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে অসম, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরলের মতো রাজ্যে। এর মধ্যে অসম ছাড়া বাকি সব রাজ্যেই বিরোধীরা ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে আগামী বছরে দলের সামনে যে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন দলীয় নেতৃত্ব। সেই কারণে দ্রুত সভাপতি নিয়োগ ও মন্ত্রিসভার রদবদল সেরে ফেলে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে নজর দিতে চাইছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই চর্চা চলছে। বিশেষ করে শরিক দলগুলির অনেকে এখনও প্রত্যাশা মতো মন্ত্রিত্ব পায়নি। তারাও বিষয়টি নিয়ে চাপে রেখেছে বিজেপি নেতৃত্বকে। কিন্তু বাদল অধিবেশন শুরু হতে আর পাঁচ দিনও বাকি নেই। ফলে ওই অল্প সময়ে রদবদল সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে দলেই। সূত্রের মতে, যদি আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে রদবদল হয় তো ভাল, না হলে বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার পরেই সম্ভবত মন্ত্রিসভার পালাবদল হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)