আগামী মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত দিল্লি সফর নিয়ে চর্চা অব্যাহত। জুনেই দিল্লির ২০ রাজেন্দ্রপ্রসাদ রোডে তৃণমূলের সদর কাযালয়ের উদ্বোধন হবে। গুঞ্জন, ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেও পারেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
জুনে সাধারণ ভাবে কোনও সংসদীয় অধিবেশন নেই। সাধারণত দিল্লিতে সংসদ চলার সময়ই মমতাকে আসতে দেখা যায় বেশি। তিনি নিজে যান সংসদীয় দলীয় অফিসে। পাশাপাশি অন্যান্য দলের সাংসদদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করেন। প্রায় এক বছর হতে চলল দিল্লিতে পা দেননি তৃণমূল নেত্রী। কয়েক মাসের মধ্যেই বাংলায় শুরু হবে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততা। তাই এই সময়টাকেই তিনি বেছে নিচ্ছেন বলে খবর।
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, মমতার দিল্লি আসার ভাবনাচিন্তা করার প্রধান কারণ, রাজ্যের জন্য বকেয়া অর্থের দরবার করা। রাজ্যের দাবি, বিভিন্ন যোজনায় এক লাখ পঁচাত্তর হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রয়েছে তাদের। এর পর বকেয়া মহার্ঘভাতার ২৫ শতাংশ দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলেও রাজকোষে বড় চাপ আসতে চলেছে। নির্দেশ অনুযায়ী যে অর্থের সংস্থান করতে হবে রাজ্য সরকারকে, তার পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকার একটু বেশি। বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প থেকে আর্থিক বরাদ্দ কাটছাঁট করে মহার্ঘভাতার জন্য প্রদেয় অর্থ জোগাড় করার রাস্তা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু ভোটের মুখে সে পথে হাঁটা সম্ভব নয় তৃণমূল সরকারের পক্ষে। বরং আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্পে অর্থবরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছিল।
রাজনৈতিক শিবির বলছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বসে বকেয়া অর্থ ছাড়ার জন্য আবেদন জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আজই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ১০০ দিনের কাজ এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য যে টাকা রাজ্যকে দেওয়া উচিত, তা থেকে লাগাতার বঞ্চনা করে চলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের থেকে বাংলা ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা পায়। চার বছর ধরে রাস্তা উন্নয়নের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, বাংলার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ২,৮৪১ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)