প্রতীকী ছবি।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে (পিএনবি) নীরব মোদী কেলেঙ্কারি সামনে আসার মধ্যেই বিদেশে শাখা কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। ব্যবসা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা মাথায় রেখেই এই কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে তারা। নভেম্বরে ‘পিএসবি মন্থন’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিদেশি শাখাগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। তারই আওতায় ব্যাঙ্কগুলির এই উদ্যোগ।
দেশে ২০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিদেশি শাখার সংখ্যা ২১৬। এর মধ্যে পুরোদস্তুর শাখা ছাড়াও প্রতিনিধিমূলক শাখা ও শাখা সংস্থা আছে। বিদেশে সব থেকে বেশি শাখা রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের। কেন্দ্রীয় আর্থিক পরিষেবা সচিব রাজীব কুমার জানান, ২১৬টি শাখার অবস্থাই খতিয়ে দেখা হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দু’ভাবে। প্রথমত, অলাভজনক শাখাগুলি বন্ধ করে। দ্বিতীয়ত, একটির সঙ্গে অন্যটি মিশিয়ে কমানো হবে শাখার সংখ্যা। ইতিমধ্যে ৩৫টি শাখাকে একে অপরের সঙ্গে মেশানো হয়েছে। আরও ৬৯টিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পিএনবি কাণ্ডে ব্যাঙ্কটি থেকে লেটার অব আন্ডারটেকিং-এর মাধ্যমে বিদেশে অন্যান্য ব্যাঙ্কের শাখার সঙ্গেই লেনদেন করেছিল মোদীর সংস্থা। তা জানার পরে, বিদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির শাখা ঢেলে সাজার উদ্যোগ উল্লেখযোগ্য বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
তবে বৃহস্পতিবার স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমারের দাবি, ‘‘এই সিদ্ধান্ত নতুন নয়। নিয়মিত দেখা হয় যে, কোনও শাখা লোকসানে চলছে কি না। চললে, তা বন্ধও করা হয়। শাখা চালাতে অযথা খরচ হলে, তাকে অন্যটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়াও নতুন নয়।’’ তিনি জানান, প্যারিসে তাঁদের পুরোদস্তুর শাখাটিকে প্রতিনিধিমূলক শাখায় পরিণত করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে জেড্ডার শাখাটিকে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থা আরও মজবুত করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন স্টেট ব্যাঙ্কের কর্ণধার। তাঁর মতে, ব্যাঙ্ক পরিচালনা ও ঝুঁকি প্রতিরোধ ব্যবস্থার ফাঁকফোকর খুঁজে বার করে, সেগুলি বন্ধ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy