Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Manipur Clash

মণিপুরে ঢুকে পুলিশের উপর হামলা চালাচ্ছে মায়ানমারের জঙ্গিরা! মনে করছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে হিংসার নেপথ্যে মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে ঢোকা অনুপ্রবেশকারীদের হাত রয়েছে, এমনটা আগেও জানিয়েছে মণিপুর সরকার। এ বার একই দাবি করলেন সে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

State security adviser said Myanmar militants likely in Manipur and involved in action

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৪৬
Share: Save:

মণিপুরে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় মায়ানমার-যোগ দেখছেন সে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংহ। গত বুধবার মণিপুরের সীমান্তবর্তী শহর মোরেতে পুলিশ কম্যান্ডোদের উপর হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। নিহত হন দুই কম্যান্ডো। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুলদীপ জানান, এই ঘটনায় মায়ানমারের জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত যে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

বুধবারের একটি ঘটনা উল্লেখ করে কুলদীপ বলেন, “গত কাল সকালের দিকে কুকি জঙ্গিরা মণিপুরের তিন জায়গায় পুলিশ কম্যান্ডোদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে।” তাঁর এই মন্তব্য কুকিদের নতুন করে ‘রুষ্ট’ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ কুকিদের অভিযোগ, মণিপুর সরকার উপত্যকার বাহিনীর (মেইতেই) বিরুদ্ধে লড়াই করা ‘স্বেচ্ছাসেবক’দের বিরুদ্ধে অত্যাচার চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবারও সে রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলায় দু’পক্ষের গুলিযুদ্ধের মধ্যে পড়ে গিয়ে চার জন প্রাণ হারান।

উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে হিংসার নেপথ্যে মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে ঢোকা অনুপ্রবেশকারীদের হাত রয়েছে, এমনটা আগেও জানিয়েছে মণিপুর সরকার। এই অনুপ্রবেশকারীদের মদতেই রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চল এবং কুকি জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে মাদক চাষের রমরমা, এমন মতও রয়েছে মণিপুরে। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই গোষ্ঠীর অভিযোগ, গোষ্ঠীসম্পর্ক থাকার কারণে কুকি জঙ্গিদের একাংশ মায়ানমারে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।

অন্য দিকে, বেশ কয়েক মাস ধরে অশান্ত মায়ানমারও। সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। বিদ্রোহীদের হামলার জেরে ইতিমধ্যেই সে দেশের অর্ধেক এলাকা সরকারি সেনার হাতছাড়া হয়েছে। উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম মায়ানমারের শান, চিন আর সাগিয়াং প্রদেশ রয়েছে এই তালিকায়। এই পরিস্থিতিতে বিদ্রোহীদের একাংশ মণিপুরে গা ঢাকা দিয়েছে বলে মনে করছে মায়ানমার প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Manipur Myanmer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE