Advertisement
E-Paper

জিএসটি: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সিএজি তার রিপোর্টে কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলার পরে মোদী সরকার আজ বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:১২
পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।—ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।—ফাইল চিত্র।

জিএসটি সেস থেকে এখন যথেষ্ট আয় হচ্ছে না বলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ মেটাতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যকে তিনি বলছেন, ধার করে অভাব মেটান। কিন্তু সেস থেকে যখন বাড়তি আয় হচ্ছিল, তখন মোদী সরকার সেই তহবিলের টাকা আইন ভেঙে অন্যত্র খরচ করেছিল।

সিএজি তার রিপোর্টে কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলার পরে মোদী সরকার আজ বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ল। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, ‘‘রাজ্যের জন্য সেস ক্ষতিপূরণ তহবিলের ৪৭,২৭২ কোটি টাকা লুকিয়ে রেখে মোদী সরকার নিজেরই সিএজি-র হাতে বমাল ধরা পড়েছে।’’ নির্মলা জিএসটি সেস থেকে আয় কমে যাওয়ার জন্য করোনাকে দায়ী করে একে দৈবদুর্বিপাক বা ‘অ্যাক্ট অব গড’ আখ্যা দিয়েছিলেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, ‘‘এটা অ্যাক্ট অব গড নয়। অ্যাক্ট অব ফ্রড।’’

সিএজি জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯-এ জিএসটি সেস থেকে আয়ের ৪৭,২৭২ কোটি টাকা কেন্দ্র আইন ভেঙে কেন্দ্রীয় সরকারের কোষাগারে ঢুকিয়ে নেয়। সেই টাকা খরচ হয়ে যায় কেন্দ্রের অন্য কাজে। আইনত কেন্দ্র তা করতে পারে না। কারণ জিএসটি চালুর পরে রাজ্যগুলির যথেষ্ট আয় না-হলে, ওই সেস বাবদ আয় থেকেই কেন্দ্রের ক্ষতিপূরণ মেটানোর কথা। রাজ্যের প্রয়োজন না হলে তা ওই তহবিলেই থাকবে। কেন্দ্র নিজের কোষাগারে নিয়ে এসে তা কাজে লাগাতে পারে না। কিন্তু অর্থ মন্ত্রক সেটাই করেছিল। আগামী ৫ অক্টোবর জিএসটি পরিষদের বৈঠক। সেখানে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা নতুন অস্ত্র পেয়ে যাওয়ায় বৈঠক উত্তপ্ত হতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনীতির লোকজন।

অমিত মিত্র বলেন, ‘‘এর পিছনে উদ্দেশ্য হল, আমাদের সামনে রাজস্ব আয় ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো। আর আন্তর্জাতিক মূল্যায়নকারী সংস্থার সামনে রাজকোষ ঘাটতি কমিয়ে দেখানো। লজ্জাজনক!’’ সিএজি-র প্রশ্নের মুখে ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রক তার জবাবদিহিতে বলেছিল, পরের বছরে ওই টাকা ফের সেস তহবিলে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তার জন্য সংসদের অনুমতি নিতে হবে নির্মলাকে। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘এই সরকার নির্লজ্জের মতো প্রতারণা করে। রাজ্যের টাকা লুট করে সংসদেও মিথ্যে কথা বলে।

কেন্দ্রের উচিত, রাজ্যের পাওনা মিটিয়ে দেওয়া।’’

GST Centre
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy