মুখ্যমন্ত্রীকে খারিজ করে প্রধানমন্ত্রীকেই কবুল করল দিল্লি।
উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের ঠিক পরে দিল্লি পুরসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দলই যে ক্ষমতা ধরে রাখছে, এমনটা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু এই ভোটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের দল যেমন ধাক্কা খেল, সেটাই পুর-ফলের নতুন ঘটনা। বিশেষ করে মাত্র দু’বছর আগে মোদী জমানাতেই খোদ দিল্লিতে কেজরী-ঝড়ে খরকুটোর মতো বিজেপির উড়ে যাওয়ার পর। উত্তরপ্রদেশে ভরাডুবির পর রাহুল গাঁধীর দলের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু কেজরীর ভোটে থাবা বসিয়ে গত বিধানসভায় ক্ষয় হওয়া জনভিত্তি থেকে ভোট ও আসন অনেকটা বাড়িয়ে নিলেও, কংগ্রেসকে তৃতীয় স্থানের সান্ত্বনা পুরস্কারেই সন্তুষ্ট থাকতে হল।
হারের পর আপ ও কংগ্রেস- দুই দলেই বেসুর বাজতে শুরু করেছে। রাহুল গাঁধীকে আড়াল করে তড়িঘড়ি ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অজয় মাকেন। যাঁর বিরুদ্ধে গোটা ভোট-প্রক্রিয়া জুড়ে সরব হয়েছেন শীলা দীক্ষিত ও তাঁর অনুগামীরা। ভোটের ঠিক মুখে মাকেন ও রাহুল গাঁধীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপিতেও যোগ দিয়েছেন অনেকে। পরাজয়ের পর প্রত্যাশিতভাবে কেজরীবালের দল বলল, এই জয় ‘মোদী-ঝড়’ নয়, ‘ইভিএম-ঝড়’। কারচুপি করেই ভোটে জিতেছে বিজেপি। যদিও সে দলেও ভগবন্ত মান থেকে কুমার বিশ্বাসরা বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন।