শহরের কোথাও না কোথাও বাইক চুরি হচ্ছিল মাঝেমধ্যেই। বিভিন্ন থানায় অভিযোগ জমা পড়ছিল। কিন্তু বাইকচোরের সেই গ্যাংকে কিছুতেই নাগালে পাচ্ছিল না। বার দুয়েক নাগালে এসেওছিল, কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে সক্ষম হয় চোরেরা। এক বছর ধরে তাদের ধরার চেষ্টা করছিল পুলিশ। অবশেষে সেই গ্যাংকে ধরল তারা। আর চোরের সেই দলকে ধরিয়ে দিল একদল পথকুকুর!
রবিবার কুরিয়া ঘাট থানা এলাকা থেকে এক ব্যক্তির বাইক চুরি হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি থানায় ছোটেন। হন্তদন্ত হয়ে এক ব্যক্তিকে থানায় ঢুকতে দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, কী হয়েছে। ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর বাইক চুরি হয়ে গিয়েছে। এখনই যদি যাওয়া যায়, তা হলে হাতেনাতে চোরদের ধরা যাবে। সময় নষ্ট না করে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক ওই ব্যক্তিকে নিয়ে চোরেদের পিছু ধাওয়া করেন। ৫ কিলোমিটার ধাওয়া করার পর বাইকটি ফেলে পালায় চোর। তার পর সেই বাইকটি উদ্ধার হয়। কিন্তু চোর পালিয়ে যায়।
তবে ওই পুলিশ আধিকারিক পিছু ছাড়েননি। আরও কিছুটা যেতেই চোরটিকে একটি গাড়িতে উঠে পড়তে দেখেন তিনি। তত ক্ষণে ওই পুলিশ আধিকারিক তাঁর দলকে খবর দেন। চোরের দল যখন একটি গলি ধরে পালানোর চেষ্টা করে, তখন একদল পথকুকুর সেই গাড়ির পথ আটকে দাঁড়ায়। চোরের দল গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য গলিতে ঢোকে। কুকুরের দলও পিছু নেয়। পুলিশ আধিকারিকও তখন চোরেদের গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন। চোরের দল যখন অন্য গুলিতে ঢোকে, তারা জানত না যে এই গলি আর মূল রাস্তায় ওঠেনি। গলির শেষ প্রান্তে পৌঁছোতেই তারা দেখে, রাস্তা ওখানেই শেষ। তত ক্ষণে পুলিশের দল সেখানে হাজির। চোরদের দলটিকে হাতেনাতে ধরে পুলিশ।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, যদি পথকুকুরের দল চোরেদের গাড়ি না আটকাত, তা হলে এ বারও পালিয়ে যেত তারা। কিন্তু পথকুকুরদের কারণেই বাইকচোরের দলটিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হল। পুলিশ জানিয়েছে, চোরেদের আস্তানা থেকে ৪০টি বাইক উদ্ধার হয়েছে।