ছবি: সংগৃহীত।
তামিলনাড়ুর শিল্পাঞ্চলে প্রতিদিনের চেনা ছবি আজ দেখা যায়নি। অন্য দিনের তুলনায় শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। একই ছবি নয়ডা, গুরুগ্রামের শিল্পাঞ্চলে, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তীসগঢ়ের খনি এবং শিল্প এলাকাগুলিতেও। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় আজ সকালে সরকারি বাসগুলিকে ডিপো থেকে বার হতে দেখা যায়নি। কেরলের মতো সার্বিক না-হলেও ওড়িশা, ত্রিপুরা, অসম-সহ কয়েকটি রাজ্যে জনজীবনে ধর্মঘট কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। কেন্দ্রের শ্রম ও কৃষি আইনের প্রতিবাদে এবং ৭ দফা দাবিতে আজ দেশ জুড়ে ধর্মঘটের এটাই ছিল সার্বিক চিত্র।
শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, কেন্দ্রের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে ২৫ কোটি শ্রমজীবী মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন। ধর্মঘটের দিনই কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে বলা হয়েছে, নতুন শ্রম আইনে অংসগঠিত ক্ষেত্রের এবং অস্থায়ী কর্মীরা স্থায়ী কর্মীদের মতো সুবিধা পাবেন। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাতে মজুরি পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কেরলে আজ পরিবহণ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট সবই বন্ধ ছিল। শ্রমিক নেতৃত্বের দাবি, তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লির ভেল, সালেম স্টিল প্ল্যান্ট, এনএলসি ইন্ডিয়ার মতো সংস্থায় কর্মীদের উপস্থিতি ছিল কম। দেশের খনি ও ইস্পাত শিল্পেও ধর্মঘটের প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে গুজরাতে ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়েনি। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানাতেও ধর্মঘটের প্রভাব নজর কেড়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, ডাক বিভাগ ও সরকারি অফিসে উপস্থিতির হার ছিল অনেক কম।
বিভিন্ন জায়গার বিক্ষোভের ছবি টুইট করে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী, এটাই প্রকৃত ভারত। দেশবিরোধী, জনবিরোধী নীতি প্রত্যাহার করুন।’’ ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষের বক্তব্য, ‘‘শ্রমজীবী মানুষ দেশব্যাপী ঐতিহাসিক ধর্মঘট সফল করেছেন।’’ সিপিআইএমএল(লিবারেশন)-এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শ্রমিক-কৃষকের অধিকার রক্ষা করতে মানুষের দৃঢ়তা স্পষ্ট হল এই ধর্মঘটে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy