নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা। সোমবার শ্রীনগরে। —নিজস্ব চিত্র
সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে লাগাতার অশান্তিতে ভুগেছিল কাশ্মীর। গত কাল কুলগামে সেনা অভিযানের পরেও ফের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বন্ধে চার জঙ্গি খতম হওয়ার পরেও তেমনই অশান্তির আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন। গত কাল সেনা অভিযানের সময়েই নিহত হয়েছিলেন এক স্থানীয় যুবক। তার পরে কুলগামে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সেই বিক্ষোভ সামলাতে গিয়ে আবার গুলি চালায় পুলিশ। তাতে নিহত হন আর এক যুবক।
ঘটনার প্রতিবাদে আজ ধর্মঘটের ডাক দেন সৈয়দ আলি গিলানি, উমর ফারুক, মহম্মদ ইয়াসিন মালিকের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কুলগাম ও শোপিয়ানে ১৪৪ ধারা জারি করে সরকার।
গত কালের অভিযানে নিহত দুই জওয়ান রঘুবীর সিংহ এবং ল্যান্স নায়েক ভাণ্ডোরিয়া গোপাল সিংহের উদ্দেশে শ্রীনগরে সেনার ১৫ কোরের সদর দফতরে শ্রদ্ধা জানান সেনা ও পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। রঘুবীর গুজরাতের আমদাবাদ ও ভাণ্ডোরিয়া উত্তরাখণ্ডের চামোলির বাসিন্দা। নিজেদের শহরে পৌঁছে গিয়েছে তাঁদের দেহ।
স্থানীয় দুই যুবকের মৃত্যু নিয়ে ‘নিরপেক্ষ তদন্ত’ দাবি করেছে বিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্স। পুলিশ জানিয়েছে, কোন পরিস্থিতিতে এই ঘটনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
হিজবুল নেতা বুরহান ওয়ানির হত্যার পরে প্রবল প্রতিবাদ-বিক্ষোভে বার বার স্তব্ধ হয়েছে উপত্যকা। দফায় দফায় জারি হওয়া কার্ফুতে কার্যত লাটে উঠেছিল ব্যবসা। সম্প্রতি খানিকটা বদলাচ্ছিল সেই অবস্থা। কিন্তু প্রবল তুষারপাতে ফের ধাক্কা খায় ব্যবসা। তার পরে আবার এই ঘটনা। স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর আক্ষেপ, ‘‘আবহাওয়া ভাল হতে শুরু করল কী করল না, পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়ে গেল।’’ যদিও পুলিশ জানিয়েছে, আজ রাজ্যের কোথাও কার্ফু জারি করা হয়নি। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে শুধু নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy