Advertisement
E-Paper

পরীক্ষার খাতার ভিতরে এ সব কী? খাতা দেখতে বসে চমকে গেলেন পরীক্ষক

ঘুষ দিয়ে কত কিই হয় এ দেশে। সরকারি দফতর থেকে শুরু বেসরকারি অফিস— কাঙ্ক্ষিত বস্তু যথাসময়ে পেতে ঘুষের কার্যকারিতা নানা জনে পরীক্ষা করেছেন। অনেকে ‘সুফল’ও পেয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৩ ১৮:০০
এই ছবিটিই সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন এক আইপিএস অফিসার।

এই ছবিটিই সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন এক আইপিএস অফিসার। ছবি: এক্স (টুইটার)।

পরীক্ষার খাতা দেখতে বসেছিলেন পরীক্ষক। বোর্ডের পরীক্ষা। কাঁড়ি কাঁড়ি খাতার মাঝে একটি খাতার পাতা ওল্টাতেই ধাক্কা খেলেন। খাতার পাতার নীচে থরে থরে সাজানো ২০০, ১০০, ৫০০ টাকার নোট। তার সঙ্গে একটি অনুরোধ— ‘‘পাশ করিয়ে দিতে হবে’’!

ঘুষ দিয়ে কত কিই হয় এ দেশে। সরকারি দফতর থেকে শুরু বেসরকারি অফিস— কাঙ্ক্ষিত বস্তু যথাসময়ে পেতে ঘুষের কার্যকারিতা নানা জনে পরীক্ষা করেছেন। অনেকে ‘সুফল’ও পেয়েছেন। তবে কথায় আছে, ‘চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না পড় ধরা’। ঘুষ দেওয়াও আদতে চোরাপথে সুবিধা নেওয়া। যা চুরিরই সমান। ফলে ঘুষ দিয়ে এবং নিয়ে ধরা পড়ে জেলের ঘানি টানতেও হয়েছে অনেককে। শিক্ষককে ঘুষ দিয়ে এই পরীক্ষার্থীর পরিণতিও হয়েছে অনুরূপ। তাকে জেলের ঘানি টানতে হয়তো হবে না। যদি শিক্ষক দয়া পরবশ হয়ে তার নামে রিপোর্ট না করেন। তবে তার অভীষ্ট লাভও হবে না।

ঘটনাটির কথা সমাজ মাধ্যমে জানিয়েছেন, এক আইপিএস কর্তা অরুণ বোথরা। তিনি জানিয়েছেন, ওই শিক্ষক নিজেই তাঁকে ওই টাকার ছবি পাঠিয়েছেন। জানিয়েওছেন কী হয়েছিল। ফলে স্পষ্ট ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী নন ওই পরীক্ষক। আগ্রহী নন পরীক্ষার্থীর অনুরোধ রাখতেও।

আইপিএস কর্তা ছবিটি দিয়ে জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা যে দেশে শিক্ষককে ঘুষ দেন, সে দেশে শিক্ষার অবস্থা এবং দেশের ভবিষ্যৎ— দু’টি বিষয়েই আর কিছু বলার থাকে না। আইপিএস কর্তার ওই পোস্ট দেখার পর বহু শিক্ষক একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সমাজ মাধ্যমে।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy