কখনও শুনেছেন ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় কেউ ২৫০ নম্বর পেয়েছে? অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে বিহারে। তা-ও আবার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায়।
বিহারের মুজফ্ফরপুরের বাবাসাহেব অম্বেডকর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি স্নাতকোত্তরের তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকেই একটি ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, এক পড়ুয়া ১০০ নম্বর লেখা পরীক্ষায় ২৫৭ নম্বর পেয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, ওই পড়ুয়াই আবার ৩০ নম্বর প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় পেয়েছেন ২২৫।
জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়া ১০০-র মধ্যে ২৫৭ নম্বর পেলেও তাঁকে পাশ করানো হয়নি। আর এখান থেকেই পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন এই ধরনের ফলাফল, তা নিয়েও তদন্তের দাবি তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। অনেক পড়ুয়ার অভিযোগ, কলেজের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের নম্বর পরীক্ষার ফলের সঙ্গে যোগ করেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৯০০০ পড়ুয়া পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৮০০০ জন পাশ করেছেন। হিন্দি, ইংরেজি এবং বিজ্ঞানের পড়ুয়াদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার বার একই ধরনের ভুল করছেন। কাউকে অতিরিক্ত নম্বর দিচ্ছেন। আবার কাউকে ১-২ নম্বরের জন্য ফেল করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কী ভাবে সর্বমোট নম্বর থেকে প্রাপ্ত নম্বর বেশি হল, এ নিয়ে যখন তুমুল হইহট্টগোল চলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক অধ্যাপক রাম কুমার বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি যে, কিছু পড়ুয়াকে সর্বমোট নম্বরের থেকে প্রাপ্ত নম্বর বেশি দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে এটা হল, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এক্সেল শিটে নম্বর বসানোর সময় কিছু ত্রুটি হয়েছিল। তার জেরেই এই ঘটনা। তবে আগামী দিনে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তা নজর রাখা হবে। নম্বরের ভুল সংশোধন করে পড়ুয়াদের মার্কশিট দেওয়া হবে।’’