প্রতীকী ছবি।
আইআইটি কানপুরের পিএইচডি পাঠরত ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার আইআইটি ক্যাম্পাসে হস্টেলের ভিতর থেকে প্রিয়ঙ্কা জয়সওয়াল নামে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কেন আত্মহত্যা করলেন সেই কারণ এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, যে দিন প্রিয়ঙ্কার দেহ উদ্ধার হয়, তার আগের দিন অনলাইনে নাইলনের দু’টি দড়ি কিনেছিলেন ওই ছাত্রী। শুধু তাই-ই নয়, প্রিয়ঙ্কার বাবা নরেন্দ্র জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বুধবার রাতে তাঁকে ফোন করে প্রিয়ঙ্কা বলেন, “বাবা, আমাকে সকাল সকাল উঠিয়ে দিয়ো। না হলে ব্রেকফাস্ট পাব না।” পরিবারের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার এটিই ছিল শেষ কথা। তার পর বৃহস্পতিবার হস্টেলের ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
ঝাড়খণ্ডের দুমকার বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কা। আইআইটি কানপুরে গত ২৯ ডিসেম্বর কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। তার ঠিক ২০ দিনের মধ্যে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হওয়ায় রহস্য ঘনাচ্ছে। কেন প্রিয়ঙ্কা আত্মহত্যা করলেন, কোনও মানসিক চাপ ছিল কি না, অবসাদে ভুগছিলেন কি না— এই সব প্রসঙ্গ নিয়েই তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “প্রিয়ঙ্কার ঘর থেকে নাইলনের দু’টি দড়ি উদ্ধার হয়ে হয়েছে। একটি মোটা, অন্যটি পাতলা। অনলাইন থেকে কিনেছিলেন সেগুলি।” প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা দিন কয়েক আগেই করেছিলেন ছাত্রী। তাই অনলাইন থেকে দড়ি কেনেন।
গত ১০ জানুয়ারি কানপুর আইআইটির আরও এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এমটেকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বিকাশ কুমার মীণার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল হস্টেল থেকে। গত ১৯ ডিসেম্বর পল্লবী চিল্কা নামে আরও এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy