ফাইল চিত্র
পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কাবুলে গিয়েছিলেন নাগেরবাজারের বাসিন্দা সুব্রত দত্তের আফগান স্ত্রী। কিন্তু কাবুলে গন্ডগোলের মধ্যে আটকে পড়েছেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছেন না সুব্রতবাবু। ভীষণ উদ্বেগে দিন কাটছে তাঁর।
বাড়ি নাগেরবাজারে হলেও কর্মসূত্রে সুব্রতবাবু এখন আমদাবাদে আছেন। সেখান থেকে ফোনে জানালেন, কাজের সূত্রে মাঝেমধ্যেই তিনি কাবুল যেতেন। সেখানেই পরিচয়, ক্রমে ঘনিষ্ঠতা হয় এক আফগান মহিলার সঙ্গে। ২০১৫ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। সুব্রতবাবু জানান, বিয়ের পর থেকে নাগেরবাজারই ছিল তাঁর স্ত্রীর ঠিকানা। এত দিন পরে তাঁর স্ত্রী এই প্রথম নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে জুনের প্রথম সপ্তাহে কাবুলে উড়ে যান।
সুব্রতবাবু বলেন, “পরিস্থিতি তখনও স্বাভাবিক ছিল। স্ত্রীর সঙ্গে রোজই কথা হত আমার। কখনও হোয়াটসঅ্যাপে, কখনও অন্য সোশ্যাল মিডিয়ায়। হোয়াটসঅ্যাপে কথা হত বলে আমার স্ত্রী আর আলাদা করে কাবুলের স্থানীয় নম্বর নেননি। কয়েক দিন ধরে ওঁর হোয়াটসঅ্যাপ ঠিকমতো কাজ করছে না। সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুকের মাধ্যমে ওঁর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। সন্ধ্যার পরে হঠাৎ অফলাইন হয়ে গেল। তার পর থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।”
সুব্রতবাবু জানান, তাঁর স্ত্রী এখনও আফগান নাগরিক। নিরাপত্তার স্বার্থে স্ত্রীর ভাল নাম না-বললেও সুব্রতবাবু জানালেন, তাঁর স্ত্রীকে ডাকতেন হাসি বলে। বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে আফগানিস্তানের অশান্ত পরিবেশ নিয়ে হাসির সঙ্গে ফোনে, মেসেঞ্জারে, হোয়াটসআপ, ফেসবুকে কথা হচ্ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুকের মাধ্যমে কথা বলার সময় ওকে আশ্বস্ত করে বেশি চিন্তা করতে বারণ করেছিলাম। ওখানে আমার বেশ কিছু বন্ধুবান্ধব আছেন। স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাঁদেরও সাহায্য চাইছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও খবর পাইনি।”
সুব্রতবাবু জানান, এ-রকম হয়েছে এর আগেও। দু'তিন দিন অফলাইনে থেকেছেন তাঁর স্ত্রী। তবে আবার যোগাযোগ হয়েছে। কিন্তু এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ক্ষণ অফলাইনে থাকায় দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy