(বাঁ দিকে) সুনীতা কেজরীওয়াল এবং অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কি সুনীতা কেজরীওয়াল? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের এক মন্তব্যের পর এমন জল্পনাই শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তবে তিনি এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। আম আদমি পার্টির (আপ) দাবি, জেলে বসেই সরকার চালাবে কেজরীওয়াল। কিন্তু তাঁকে যদি ইস্তফা দিতে হয় তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসবেন সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বুধবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী দাবি করেছেন, সুনীতা ধীরে ধীরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই কথা বলতে গিয়ে তিনি টেনে এনেছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর প্রসঙ্গ। অনুরাগ বলেন, ‘‘লালুপ্রসাদ যাদব যখন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়েছিলেন, তখন তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী নানা রকম ঘোষণা করতেন। তার পর দেখা গেল তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন।’’ ১৯৯৭ সালে পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলায় জেলে যেতে হয় লালুকে। আদালতে আত্মসমর্পণ করার আগে স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী করে দেন তিনি। অনেকেই মনে করছেন, সুনীতাই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অন্তর্বর্তী দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
কেন সুনীতাকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে? ইডি হেফাজত থেকে কেজরীওয়াল যা বার্তা দিচ্ছেন, তা পড়ে শোনাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী সুনীতাই। বুধবার দিল্লি হাই কোর্টে যখন কেজরীওয়ালের মামলার শুনানি চলছিল, তখন তাঁর স্ত্রী আপ প্রধানের একটি বার্তা পড়ে শোনান। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার কি দিল্লিকে ধ্বংস করতে চায়? তারা কি চায় জনগণ কষ্ট থাকুক? অরবিন্দ কেজরীওয়াল এতে খুব কষ্ট পেয়েছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তথাকথিত মদ কেলেঙ্কারিতে ইডি ২৫০টিরও বেশি অভিযান চালিয়েছে। তারা এই তথাকথিত কেলেঙ্কারির টাকা খুঁজছেন। মণীশ সিসৌদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন এবং আমাদের বাড়িতেও তল্লাশি চালায়। তারা এখনও কিছুই খুঁজে পায়নি। একটা টাকাও কোথাও পায়নি।’’
‘তথাকথিত মদ কেলেঙ্কারি’র টাকা কোথায় গেল, সেই ব্যাপারেই বৃহস্পতিবার আদালতে জানাবেন কেজরীওয়াল, এমনই দাবি করেছেন সুনীতা। এর আগেও সুনীতাকে দিল্লিবাসীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পড়ে শোনাতে দেখা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy