দিল্লিতে ২০২০ সালের হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদ ও শারজিল ইমামদের জামিন মামলার শুনানি পিছোল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির কথা ছিল। তবে বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চ আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই জামিন মামলা শুনানি পিছিয়ে দেয়। উমর, শারজিল ছাড়াও দিল্লির হিংসা মামলায় অভিযুক্ত মিরান হায়দার, গুলফিশা ফাতিমাও জামিনের আবেদন করেছিলেন। একসঙ্গে সব আবেদন শুনবে বলে জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসার ঘটনায় উমর, শারজিলদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা করেছিল দিল্লি পুলিশ। গত বছর মে মাসে এই মামলায় দিল্লির করকরডুমা আদালত উমরদের জামিনের আবেদন নাকচ করেছিল। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে অভিযুক্তেরা দিল্লি হাই কোর্টে বিচারপতি নবীন চাওলা এবং বিচারপতি শালিন্দর কৌরের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু গত ২ সেপ্টেম্বর দিল্লির উচ্চ আদালত সকলের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয়। তার পরেই একে একে উমর, শারজিলরা জামিনের আবেদন জানিয়ে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টে।
২০২০ সালে দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটে, যাতে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৭০০-র বেশি। ওই ঘটনায় উমরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা করেছিল দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুন:
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উমরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশ দাবি করেছিল, হিংসার ঘটনায় ‘অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারী’ উমর। ‘উস্কানিমূলক’ বক্তৃতা করার অভিযোগে জেএনইউয়ের প্রাক্তন এই গবেষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। দিল্লি হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন উমর। সেখানে আর্জি খারিজ হলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান। উমরের মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র। পরে উমর নিজেই শীর্ষ আদালত থেকে জামিনের আর্জি প্রত্যাহার করে দিল্লির করকরডুমা আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই আবেদন গত বছর খারিজ হয়েছিল। অন্য দিকে, শারজিলের বিরুদ্ধে হিংসাপর্বের সময় দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা করার অভিযোগ রয়েছে।