তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর। ছবি তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডল থেকে।
ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল তৃণমূল। সোমবার তৃণমূলের দায়ের করা মামলা গ্রহণ করল দেশের শীর্ষ আদালত। ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
২৫ নভেম্বর পুরসভা এবং নগর পঞ্চায়েতের ভোট রয়েছে ত্রিপুরায়। সেই ভোটের আগে সে রাজ্যে শাসকদল বিজেপি-র হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। গত কয়েক মাস ধরে একাধিক বার হামলা হয়েছে তাঁদের উপর। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। কোনও বিরোধী দলকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না সেখানে। এর জেরে অবমাননা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়। যে রায়ে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, নির্বাচনের আগে সব বিরোধীদলকে প্রচারের সুযোগ দিতে হবে। এই রায়ের অবমাননা হচ্ছে বলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূল।
তবে তৃণমূলের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘‘মাথায় দুটো ইট পড়েছে, তাতেই সুপ্রিম কোর্টে ছুটছে। আর দুটো ইট পড়তে তো রাষ্ট্রপুঞ্জে যাবে।’’
সোমবার আগরতলা পৌঁছেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সোমবার আগরতলায় তাঁর পদযাত্রায় অনুমতি দেয়নি বিপ্লব দেবের প্রশাসন। পরে অবশ্য পথসভার অনুমতি দেওয়া হয় ত্রিপুরা প্রশাসনের তরফে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম তৃণমূল-বিজেপি তরজা। রবিবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে আগরতলার পরিস্থিতি। সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তাঁদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলায় বিপ্লবের সরকারকে দায়ী করেছে তৃণমূল।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট কী বলে সে দিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy