২০২১ সালের মে থেকে ২০২২ সালের অগস্টের মধ্যে অসমে ১৭১টিরও বেশি পুলিশ এনকাউন্টারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার পুলিশের বিরুদ্ধে সাজানো সংঘর্ষে মানুষ খুনের যে অভিযোগ উঠেছে, অসমের মানবাধিকার কমিশনকে তা তদন্ত করে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চ বুধবার নির্দেশে বলেছে, ‘‘দ্রুত ও স্বাধীন ভাবে এই তদন্ত শেষ করতে হবে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে তা সরাসরি সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার (মানবিক মর্যাদা নিয়ে জীবনযাপনের মৌলিক অধিকার) লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’’ মহারাষ্ট্রে এ সংক্রান্ত একটি মামলায় ২০১৪ সালের রায় মানবাধিকার কমিশনকে অনুসরণ করতে বলেছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। ২০১৪ সালের ওই রায়ে শীর্ষ আদালত ১৬টি বাধ্যতামূলক নির্দেশিকা জারি করেছিল।
ওই নির্দেশিকাগুলির মধ্যে পুলিশি সংঘর্ষের এফআইআর দায়ের, স্বাধীন বিভাগীয় তদন্ত, ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট তৈরি এবং যাচাই করা, নিহতের নিকটাত্মীয়দের অবহিত করা, ক্ষতিপূরণের মতো বিষয়গুলি ছিল। বিজেপি শাসিত অসমে গত কয়েক বছরে ধারাবাহিক ভাবে পুলিশি গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ, নিহতদের বড় অংশই সংখ্যালঘু বা জনজাতি সম্প্রদায়ের। যদিও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের সরকার বারে বারে সাজানো পুলিশি সংঘর্ষে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আবেদনকারী পক্ষের তদন্তের আবেদন গৌহাটি হাই কোর্টের বিচারাধীন থাকলেও সুপ্রিম কোর্ট বুধবার তা খারিজ করেছে।