Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভূষণকে কে দিয়েছে রেজিস্টার, জবাব তলব শীর্ষ আদালতের

সিবিআই প্রধান রঞ্জিত সিন্হার বাড়ির রেজিস্টার তিনি কার কাছ থেকে পেয়েছেন তা জানাতে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যে রেজিস্টার ভূষণ শীর্ষ আদালতে পেশ করেছেন তাতে জালিয়াতি করা হয়েছে বলে আজ অভিযোগ করেছেন সিবিআই প্রধানের আইনজীবী বিকাশ সিংহ। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই প্রধান রঞ্জিত সিন্হার বাড়ির একটি রেজিস্টার পেশ করেন ভূষণ। তাঁর অভিযোগ, ওই রেজিস্টারে টুজি, কয়লা কেলেঙ্কারি মামলার অভিযুক্ত-সহ নানা ব্যক্তির নাম রয়েছে।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:২৫
Share: Save:

সিবিআই প্রধান রঞ্জিত সিন্হার বাড়ির রেজিস্টার তিনি কার কাছ থেকে পেয়েছেন তা জানাতে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যে রেজিস্টার ভূষণ শীর্ষ আদালতে পেশ করেছেন তাতে জালিয়াতি করা হয়েছে বলে আজ অভিযোগ করেছেন সিবিআই প্রধানের আইনজীবী বিকাশ সিংহ।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই প্রধান রঞ্জিত সিন্হার বাড়ির একটি রেজিস্টার পেশ করেন ভূষণ। তাঁর অভিযোগ, ওই রেজিস্টারে টুজি, কয়লা কেলেঙ্কারি মামলার অভিযুক্ত-সহ নানা ব্যক্তির নাম রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে টুজি ও কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে সিবিআই।

ভূষণ অভিযোগ করেন, ওই অভিযুক্তদের সঙ্গে বাড়িতে বৈঠক করার পরে তাঁদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন রঞ্জিত। টুজি ও কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্ত থেকে রঞ্জিতকে সরানোর আর্জিও জানান তিনি।

জবাবে রঞ্জিত জানান, তিনি রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর অফিসার-সহ কয়েক জন অভিযুক্তের সঙ্গে দেখা করেছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁদের কোনও সাহায্য করেননি। ভূষণ তাঁর মানহানি করে নিজের অনুকূলে কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। ভূষণ কার কাছ থেকে ওই রেজিস্টার পেয়েছেন তাও জানতে চান সিবিআই প্রধান। কোনও অপরাধের ক্ষেত্রে যাঁরা আগাম সতর্ক করেন (হুইসলব্লোয়ার) তাঁদের পরিচয় গোপন রাখার যুক্তি এ ক্ষেত্রে খাটে না বলেও জানান রঞ্জিত।

যে ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি রঞ্জিতের বাড়ির রেজিস্টার পেয়েছেন তাঁর পরিচয় মুখবন্ধ খামে জানাতে আজ ভূষণকে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। বিচারপতি এইচ এল দাত্তুর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, কে এই তথ্য ভূষণকে দিয়েছেন তা জানা প্রয়োজন। কারণ, এই বিষয়টির সঙ্গে রঞ্জিতের সম্মান ও টুজি তদন্তের বিচার জড়িত।

রঞ্জিতের আইনজীবী বিকাশ সিংহ আজ সাফ জানান, ভূষণের দেওয়া রেজিস্টারের ৯০ শতাংশ নামই জাল। তবে কিছু নাম সঠিক হতে পারে। বিকাশের অভিযোগ, এই মামলার গতিপ্রকৃতি অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে। কারণ, ভূষণ কবে ওই রেজিস্টারের প্রকৃত নথি কোর্টে জমা দেবেন তা শুনানির ঠিক আগেই একটি সংবাদপত্র গোষ্ঠী প্রকাশ করেছে। টুজি মামলার অভিযুক্তদের সুবিধে করে দিতে একটি কর্পোরেট সংস্থা পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিকাশ।

বিষয়টি নিয়ে সিবিআইয়ের বক্তব্য জানতে চায় বেঞ্চ। কিন্তু সিবিআইয়ের আইনজীবী কে কে বেণুগোপাল বলেন, “এই বিষয়ের ফয়সালা সিবিআই অধিকর্তা ও ভূষণের মধ্যেই হবে। আমরা এতে জড়াতে রাজি নই।’’

এর পরে বেঞ্চ সিবিআই প্রধানের দেওয়া সব হলফনামা ও নথিপত্র মুখবন্ধ খামে শীর্ষ আদালতের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। ২২ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE