Advertisement
E-Paper

‘আরও ৩০ হাজার জনকে নিয়োগ করাই যায়’! বিএলও-দের মৃত্যুতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে দায়ী করল সুপ্রিম কোর্ট

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে বলেছে, কোনও বিএলও কাজ থেকে অব্যাহতি চাইলে, বিশেষত কেউ অসুস্থ হলে, তাঁকে ছুটি দেওয়া হোক। সেই বিএলও-র বদলে নতুন বিএলও নিয়োগ করতে হবে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৫৯
বিএলও-দের মৃত্যুতে কমিশনকে দায়ী করতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট।

বিএলও-দের মৃত্যুতে কমিশনকে দায়ী করতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজ করার সময় দেশে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক জন ব্লক স্তরের আধিকারিক (বিএলও)-এর। কেউ আত্মঘাতী হয়েছেন। পরিবার এসআইআরের চাপকেই দায়ী করছে। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ এই নিয়ে আঙুল তুলল সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারের দিকেই। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এসআইআরের কাজে যেখানে ১০ হাজার জনকে নিয়োগ করা হয়েছে, সেখানে আরও ৩০ হাজার জনকে নিয়োগ করা যেতেই পারে। সে ক্ষেত্রে চাপ কমতে পারে বিএলও-দের।

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে বলেছে, কোনও বিএলও কাজ থেকে অব্যাহতি চাইলে, বিশেষত কেউ অসুস্থ হলে, তাঁকে ছুটি দেওয়া হোক। সেই বিএলও-র বদলে নতুন বিএলও নিয়োগ করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল অভিনেতা বিজয়ের দল তামিলাগা ভেত্রি কাঝাগাম (টিভিকে)। আগামী বছর তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে প্রথম বার লড়তে চলেছে এই দল। টিভিকে তামিলনাড়ুতে বিএলও-দের মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছে। তাদের আরও অভিযোগ, কমিশন জোর করে বিএলও-দের উপরে কাজ চাপাচ্ছে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৩২ নম্বর ধারাকে হাতিয়াড় করে ভয় দেখানো হচ্ছে। এই ধারা অনুসারে, কোনও বিএলও বা নির্বাচনী আধিকারিকের কর্তব্যে গাফিলতি ধরা পড়লে তাঁর দু’বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। বিজয়ের দলের অভিযোগ, এই আতঙ্কেই মৃত্যু হচ্ছে, অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বিএলও-রা। মৃতদের অনেকেরই বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছর। টিভিকের আইনজীবী সওয়াল করে জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে বিএলও-দের বিরুদ্ধে ৫০টি মামলা দায়ের হয়েছে। টিভিতে এ সব দেখানো হচ্ছে। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন বিএলও-রা। কমিশনের আইনজীবী টিভিকের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই অভিযোগ ‘মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন’।

বিএলও-দের এই অবস্থার জন্য কমিশনকে দায়ী করতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি কান্ত জানিয়েছেন, বিএলও-রা রাজ্য সরকারের কর্মী, কমিশনের নয়। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘কাজের জন্য আরও লোকের প্রয়োজন হলে রাজ্য নিয়োগ করতে বাধ্য।’’

১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআরের কাজ চলছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি তামিলনাড়ু, কেরলে ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট। গুজরাত এবং উত্তরপ্রদেশে ২০২৭ সালে বিধানসভা নির্বাচন। এই রাজ্যগুলিতে বিএলও-দের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। মৃতদের পরিবার কাজের চাপকে দায়ী করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও বিএলও-দের মৃত্যুর খবর এসেছে। কাজের চাপ নিয়ে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই আবহে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, বিএলও-দের মৃত্যুতে কমিশনের হাত নেই। তাঁরা আদতে রাজ্য সরকারেরই কর্মী।

SIR Supreme Court BLO
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy