ছেলেকে নিয়ে পলাতক রুশ বৌমা ভিক্টোরিয়া বসুর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস জারির চেষ্টা করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতীয় নাগরিক সৈকত বসুকে বিয়ে করার পরে ২০১৯ সাল থেকে ভারতে থাকছিলেন ভিক্টোরিয়া। তাঁদের একটি ছেলেও আছে। সৈকতের দাবি, ভিক্টোরিয়া তাঁকে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড-সহ কয়েকটি কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়ায় তাঁদের সন্দেহ হয় ভিক্টোরিয়াআসলে গুপ্তচর।
এর পরেই তাঁদের মধ্যে ব্যবধান দেখা দেয়। পরে ভিক্টোরিয়া ছেলেকে নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান বলে অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সৈকত। তাঁর আবেদনে জানানো হয়, ভিক্টোরিয়া বা তাঁর বছর চারেকের ছেলে কোথায় রয়েছেন তা তিনি জানেন না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করে বিদেশ মন্ত্রক ও দিল্লি পুলিশ। এর আগে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ভিক্টোরিয়া তাঁর ছেলেকে নিয়ে নেপাল হয়ে রাশিয়া চলে গিয়েছেন বলে তাদের ধারণা।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টে দিল্লি পুলিশ ও বিদেশ মন্ত্রক স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাস সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু সাহায্য পায়নি। নেপালে ভিক্টোরিয়াকে পালাতে সাহায্য করেছিল এমন কয়েক জনকে জেরা করার বিষয়ে তারা দিল্লি পুলিশকে সাহায্য করছে। অন্য দিকে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারাও দিল্লির রুশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তাতে ফল হয়নি। কেন্দ্রের আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাট্টি বলেন, ‘‘আমি নিজে রুশ দূতাবাসের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছি। ফল হয়নি। রাশিয়া আমাদের তথ্যদিচ্ছে না।’’
আগেই ভিক্টোরিয়াকে নিয়ে ইন্টারপোলের ব্লু কর্নার নোটিস জারি হয়েছে। ওই নোটিস জারি থাকলে সেই ব্যক্তি বর্তমানে কোথায় রয়েছেন তা সংশ্লিষ্ট দেশকে জানায় ইন্টারপোল। আজ মামলার শুনানির সময়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীবলেন, ‘‘ব্লু কর্নার নোটিসে কাজ হচ্ছে না বলেই রেড কর্নার নোটিস জারি করার চেষ্টা করা হোক। আমরা চাই না এটা মানুষ পাচারের ঘটনা হয়ে দাঁড়াক।’’ বিচারপতি সূর্য কান্তের বক্তব্য, ‘‘দু’দেশেরকূটনৈতিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে। ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্কে প্রভাব পড়ুক এমন কোনও নির্দেশ আমরা দিতে চাই না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)