Advertisement
E-Paper

দেখুন প্রতিবেশী দেশগুলিতে কী হচ্ছে! বিলে সম্মতির সময়সীমার মামলায় নেপাল ও বাংলাদেশের অবস্থার কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

তরুণ প্রজন্মের বিক্ষোভের মুখে মঙ্গলবারই নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। গত বছরের জুলাই মাসে গণবিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশও।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৫
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবই।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবই। —ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন উঠে এল দুই পড়শি দেশের পরিস্থিতির কথা। নেপালের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবই। অন্য দিকে বিচারপতি বিক্রম নাথ উল্লেখ করলেন বাংলাদেশের কথা।

বিলে সম্মতি সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের থেকে পরামর্শ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি গবইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত বিষয়ের শুনানি চলছে। বুধবার ছিল এই সংক্রান্ত শুনানির নবম দিন। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, এ দিনের শুনানির একটি পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা আমাদের সংবিধান নিয়ে গর্বিত। দেখুন প্রতিবেশী দেশগুলিতে কী হচ্ছে। আমরা নেপাল (নেপালের ঘটনা) দেখলাম।” তখন বিচারপতি নাথও বলেন, “হ্যাঁ, বাংলাদেশও (বাংলাদেশের ঘটনা)।”

গত এপ্রিলে তামিলনাড়ু সরকারের এক মামলায় কোনও বিলে সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতিকে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ওই নির্দেশ নিয়ে আপত্তি তোলেন তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি-সহ অনেকেই। এ বিষয়ে শীর্ষ আদালতের পরামর্শ চান রাষ্ট্রপতি মুর্মুও। সেখানে মূলত ১৪ দফা প্রশ্নের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ওই সংক্রান্ত মামলারই শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ৯০ শতাংশ বিলই এক মাসের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিলে সম্মতি পেতে বিলম্ব খুবই বিরল ঘটনা বলে আদালতে জানান তিনি। সেই সময়েই দেশের সংবিধানের গরিমা বর্ণনা করতে গিয়ে নেপাল এবং বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন বিচারপতিরা। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনও মন্তব্য করেননি তাঁরা।

ঘটনাচক্রে, তরুণ প্রজন্মের বিক্ষোভের মুখে মঙ্গলবারই নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। এক তুমুল গণবিক্ষোভের সাক্ষী থেকেছে নেপাল। আগুন জ্বলেছে নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িতে। সে দেশের পার্লামেন্ট ভবনেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসে গণবিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশও। ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত বছরের অগস্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পতন হয় আওয়ামী লীগের সরকারের। যদিও নেপাল এবং বাংলাদেশের ঘটনার কথা বললেও নির্দিষ্ট ভাবে কোনও সময়ের, কোনও ঘটনার কথা উল্লেখ করেননি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা।

Supreme Court Nepal Bangladesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy