সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেই আপলোড করা হয়েছিল ঘটনার ছবি এবং ভিডিয়ো। কিন্তু বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়িতে গুদামঘর থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার ব্যাপারে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট।
তথ্যের অধিকার আইনে ওই কমিটি রিপোর্টের বিস্তারিত বিবরণ জানাতে চাওয়া হলে, তা খারিজ করে দিয়েছেন সিপিআইও (কেন্দ্রীয় জনতথ্য আধিকারিক)। খারিজ করার ভিত্তি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে সুভাষচন্দ্র আগরওয়াল মামলার কথা। ২০১৯ সালে ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় ছিল, সংবিধান অনুসারে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার এবং তথ্য জানার অধিকারের মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকা দরকার। সিপিআইও সেই সঙ্গে তথ্যের অধিকার আইনেরই ৮(১)ঙ ধারা এবং ১১ নম্বর ধারার কথাও উল্লেখ করেছেন। সেখানে বলা আছে যে, তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য তখনই জানানো হবে, যখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত থাকবেন যে জনস্বার্থেই তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।
১৪ মার্চ লাটিয়েন্স দিল্লিতে বিচারপতি বর্মার বাড়িতে এক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রে পোড়া টাকা উদ্ধার হয় এবং বিষয়টি সামনে আসে। সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ২২ মার্চ একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কমিটি ৩ মে তার রিপোর্ট তৈরি করে প্রধান বিচারপতির খন্নার কাছে জমা দেয়। সেই রিপোর্ট এবং একটি চিঠি তিনি পাঠিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে। চিঠিতে কী ছিল, তা-ও জানাতে চাননি সিপিআইও।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)