২৪ বছর পর নিজের হারানো সম্মান ফিরে পেলেন গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণন। অহেতুক হয়রানি ও মানহানির জন্য তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি ভুয়ো মামলায় তাঁকে ফাঁসানোর জন্য কেরল পুলিশের আধিকারিকদের ভূমিকাও তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
ঘটনার শুরু ১৯৯৪ সাল। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ক্রায়োজেনিক্স বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন নাম্বি নারায়ণন। রকেটে তরল জ্বালানির ব্যবহারে তাঁর গবেষণা সাতের দশকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কেরল পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে, টাকার লোভে দেশের গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ নথি তিনি তুলে দিয়েছিলেন পাক মদতপুষ্ট মালদ্বীপের গোয়েন্দাদের হাতে। শুধু নাম্বি নায়ারণন নন, একই সঙ্গে আরও এক মহাকাশবিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে এই মারাত্মক অভিযোগ এনেছিল কেরল পুলিশ। পরে সেই অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেও প্রায় ৫০ দিন জেলবন্দি ছিলেন তিনি। এই সময়ে সীমাহীন মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
১৯৯৬ সালেই তাঁর বিরু্দ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছিল সিবিআই। একই সঙ্গে কেরল পুলিশের আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। ১৯৯৮ সালে তাঁকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। যদিও কী কারণে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল তা নিয়ে কোনও তদন্ত এখনও পর্যন্ত হয়নি। তিন পুলিশ আধিকারিক সিবি ম্যাথু, কে কে জসুয়া এবং এস বিজয়নের নেতৃত্বেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে জানা যায়।