সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও গুজরাত দাঙ্গায় গণধর্ষণের শিকার বিলকিস বানোর ক্ষতিপূরণ দেয়নি গুজরাত সরকার। পাঁচ মাস কেটে গিয়েছে। আজ ওই নির্দেশের পর্যালোচনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি পেশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করল তারা। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ অবশ্য জানিয়েছে, ওই নির্দেশের কোনও পর্যালোচনা হবে না। দু’সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘চাইলে আপনারা দু’সপ্তাহের আগেই কাজটা করতে পারেন।’’ গুজরাত সরকারের হয়ে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যেই বিলকিসের ক্ষতিপূরণ, চাকরি ও বাসস্থানের বন্দোবস্ত হবে।
অন্য দিকে বিলকিস মামলায় সাজা শুনিয়েছিলেন যে বিচারপতি, সেই বিজয়া তাহিলরামানির বিরুদ্ধে গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করার জন্য সিবিআইকে অনুমতিও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি গগৈ।
২০০২-এর গুজরাত দাঙ্গায় গণধর্ষিতা হন বিলকিস। চোখের সামনে পরিবারের ১৪ জন সদস্যকে খুন হতে দেখেছিলেন তিনি। পাঁচ মাসে আগে, গত এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট সেই বিলকিসকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, চাকরি ও বাসস্থানের বন্দোবস্ত করে দেওয়ার জন্য গুজরাত সরকারকে নির্দেশ দেয়। তবে ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন ছাড়াও আরও একটি কারণে বিলকিস মামলা নতুন করে খবরে ফিরে এসেছে। ২০১৭-য় বম্বে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি বিজয়া তাহিলরামানি বিলকিস মামলায় ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন। নিম্ন আদালত পুলিশ অফিসার, চিকিৎসক-সহ ঘটনায় জড়িত সাতজনকে ছাড় দিলেও বিচারপতি তাহিলরামানি তা খারিজ করে দেন। আজ তাঁর বিরুদ্ধেই সিবিআই তদন্তে অনুমোদন দিয়েছে শীর্ষ আদালত।