Advertisement
E-Paper

‘এটা কী ধরনের আবেদন!’ বিলকিসের ধর্ষকদের আর্জি ফের খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট, মিলল না জামিন

২০২২ সালে গুজরাত সরকার বিলকিসকাণ্ডের দোষীদের মুক্তি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল, গত জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তা চ্যালেঞ্জ করে নতুন করে আবেদন জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ১৮:৩৫
গুজরাতে খুন এবং গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ১১ জন।

গুজরাতে খুন এবং গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ১১ জন। —ফাইল চিত্র।

বিলকিস বানোর ধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত দুই অপরাধীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সাময়িক ভাবে তাঁরা জামিন চেয়েছিলেন। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে সেই আবেদনের শুনানি ছিল। আদালত আবেদনের ধরন নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

রাধেশ্যাম ভগবানদাস এবং রাজুভাই বাবুলাল বিলকিসকাণ্ডের অন্যতম অপরাধী। ২০২২ সালে গুজরাত সরকার বিলকিসকাণ্ডের দোষীদের মুক্তি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল, গত জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তা চ্যালেঞ্জ করে নতুন করে আবেদন জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে। যত দিন না সেই মামলার রায় ঘোষিত হচ্ছে, তত দিন জামিনে মুক্ত থাকতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন ভগবানদাস এবং বাবুলাল। শুক্রবার এই আবেদনেই বিস্ময় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না।

আবেদনের শুনানি চলাকালীন বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এটা কী ধরনের আবেদন? কী ভাবে এটার শুনানি সম্ভব?’’

মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, ২০২২ সালে ভগবানদাস যখন জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন, সে সময়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ সরকারকে সেই আবেদন বিবেচনা করতে বলেছিল। যদিও সে সময়ে গুজরাত সরকারের কথা বলেনি আদালত। বলা হয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকারের কথা। তবে আদালত জানিয়েছিল, আবেদনটি গ্রহণযোগ্য। সেই সুপ্রিম কোর্টেরই অন্য বেঞ্চ কী ভাবে বিপরীতধর্মী নির্দেশ দিতে পারে? প্রশ্ন করেন মামলাকারীর আইনজীবী। ভবিষ্যতেও এ নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে বলে জানান তিনি।

আবেদনে মামলাকারী জানিয়েছেন, ২০২২ সালের মে মাসে আদালত যে রায় দিয়েছিল এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আদালত যে রায় দিয়েছে— আদালতের কোন অবস্থান এ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে আবেদনকারীর মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হোক— বলা হয়েছে আবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বিচারপতি যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘‘দু’রকম রায় দেওয়া হয়েছে। তবে জানুয়ারি মাসে যে রায় দেওয়া হয়, তার ক্ষেত্রে পূর্বের রায়টিও বিবেচনা করা হয়েছিল। এই আবেদন তাই বিবেচ্য হতে পারে না।’’

(সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই আনন্দবাজার অনলাইন কোনও ধর্ষিতা বা ধর্ষণের অভিযোগকারিণীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করে না। কিন্তু বিলকিস বানো মামলায় শীর্ষ আদালত তার রায়ের যে প্রতিলিপি সর্বসাধারণের জন্য তাদেরই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে, সেখানে নির্যাতিতার নামোল্লেখ রয়েছে। এ নিয়ে আপত্তি তোলেননি স্বয়ং বিলকিসও। এই বিশেষ ও ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে আমরা তাই বিলকিস সংক্রান্ত বিভিন্ন খবরে তাঁর নাম গোপন করছি না)

Supreme Court Bilkis Bano Bilkis Bano Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy