‘নগদকাণ্ডে’ তিন বিচারপতির অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা যাবে না! সম্প্রতি তথ্যের অধিকার (আরটিআই) আইনের আওতায় এক আবেদন খারিজ করে এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ‘নগদকাণ্ড’ নিয়ে অনুসন্ধান রিপোর্ট দেখতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের এক আইনজীবী। তাঁর আবেদন খারিজের সময় শীর্ষ আদালত পুরনো এক মামলার রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ওই রায়ে উল্লিখিত মানদণ্ড অনুসারে, আবেদনকারী যে তথ্য চাইছেন তা প্রকাশ্যে আনা যায় না।
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, গত ৯ মে আরটিআই আবেদনটি জমা পড়েছিল। গত ২১ মে সেটি খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের কেন্দ্রীয় তথ্য আধিকারিক (সিপিআইও) হিমানি সরদ। শীর্ষ আদালতের কেন্দ্রীয় তথ্য আধিকারিক এ ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের একটি মামলার রায়ের কথা উল্লেখ করেছেন। ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায় অনুসারে, এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা যায় না বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ওই আরটিআই আবেদনের জবাবে তথ্যের অধিকার আইনের বেশ কিছু ধারার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন ওই আইনের ৮ (১)(ই) ধারা অনুসারে বিশেষ কিছু তথ্য বৃহত্তর জনস্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত না-হলে, তা প্রকাশ করা যায় না। আবার আইনের ১১ ধারায় তৃতীয় কোনও পক্ষের কাছে তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত নিয়মবিধির উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন:
গত মার্চে দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাসভবনের গুদামে আগুন লেগেছিল। দমকলকর্মীরা আগুন নেবাতে গিয়ে পোড়া নোটের বান্ডিল পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় সেই বিতর্ক। শীর্ষ আদালত ওই ঘটনার অনুসন্ধানের জন্য হাই কোর্টের তিনি বিচারপতিকে নিয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল। গত ৩ মে ওই অনুসন্ধান কমিটি একটি মুখবন্ধ রিপোর্ট জমা দেয় সুপ্রিম কোর্টে। ওই রিপোর্টের তথ্য পেতে আরটিআই আইনের আওতায় আবেদন জানান আইনজীবী অমৃতপাল সিংহ খালসা। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের তথ্য আধিকারিক।