রাফাল যুদ্ধবিমান। ছবি: ফাইল চিত্র।
রাফাল কাণ্ডে ফাঁস হয়ে যাওয়া গোপন রিপোর্ট প্রামান্য নথি হিসেবে দেখতে রাজি সুপ্রিম কোর্ট। আজ এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ। এর আগে সংবাদমধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়া নথি প্রামাণ্য হিসেবে পেশ করা যাবে না এই যুক্তি দেখিয়েছিল কেন্দ্র। তাদের যুক্তি ছিল, দেশের গোপন নথি বাইরে এলে বিপন্ন হবে দেশের নিরাপত্তা।
এর আগে রাফাল নিয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি নাকচ করে কেন্দ্রকে ক্লিনচিট দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর পরই রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা সংক্রান্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোপন নোট সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। তাতে দেখা যায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল যখন ফ্রান্সের সঙ্গে দর কষাকষি করছিল, সে সময়েই প্রধানমন্ত্রীর দফতর সমান্তরাল দর কষাকষি করেছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অফিসারেরা তাতে আপত্তিও তোলেন। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। ওই নথি নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের আগের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন যশবন্ত সিন্হা, অরুণ শৌরি, প্রশান্ত ভূষণরা। সরকারের যুক্তি ছিল, ওই গোপন নোট আদালতে প্রামাণ্য হিসেবে স্বীকৃত হতে পারে না। কারণ মন্ত্রক থেকে ওই ফাইল চুরি গিয়েছে। পরে সরকার জানায়, বেআইনি ভাবে ওই নথি ফোটোকপি করে নেওয়া হয়েছে। তাই আদালত তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
আবেদনকারীদের তরফে পাল্টা যুক্তি ছিল, যে নথি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে, তাকে নিয়ে গোপনীয়তার যুক্তি খাটে না। এই প্রেক্ষিতেই এই রায় দিল শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের এই রায়ে নিশ্চিত ভাবেই ধাক্কা খেল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: নিজের নামে সাফল্য নেই, তাই জওয়ানদের নামে ভোট চাইছেন মোদী, কটাক্ষ রাহুলের
আদালতের এই রায়ের পর যাঁরা রায় পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছিলেন, তাঁদের তরফে অরুণ শৌরি বলেছেন, ‘‘আমাদের যুক্তি ছিল, যেহেতু এই নথি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত, তাই তা আদালতের দেখা উচিত। তাঁরা প্রমাণ চেয়েছিলেন এবং আমরা তা দিয়েছি। আদালত আমাদের আবেদন মেনে নিয়ে সরকারের যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy